এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৬৪
কাহাকে?

আমার নিশ্বাস রুদ্ধ হইয়া আসিতে লাগিল,—আমার দোষেই এরূপ ঘটিয়াছে সত্য, কিন্তু সমস্ত অবস্থা জানিলে ভগিনীপতিও কি এ দোষ অমার্জ্জনীয় ভাবিতেন; তাঁহার পুরুষের দৃষ্টিতেও কি ইহার মার্জ্জনীয় দিক প্রকাশিত হইত না? কিন্তু কি করিয়। তাঁহাকে সমস্ত বিবরণ খুলিয়া বলি? দিদিকে বলা আর তাঁহাকে বলা ত আর এক কথা নহে —তথাপি আমি প্রাণপণে বল সংগ্রহ করিয়া ক্ষীণস্বরে বলিলাম—“আমি কি করব! তিনি যখন বল্লেন-“বিবাহ না করলে আপনার ক্ষতি হবে কি না কেবল তাই বিবেচনা করেই স্থির করুন বিবাহ করবেন কি না——তখন আমি আর কি বলব? তিনি যদি এর চেয়ে একটুখানি কোমল ভাবে—একটু খানি হৃদয়ের সঙ্গে তাঁর ইচ্ছা আমাকে জানাতেন—তাহলে আমি কি অগ্রাহ্য করতে পারতুম?”

 ভগিনীপতি বদ্ধভ্রূকুটি হইয়া বলিয়া উঠিলেন—“কি? আপনার ক্ষতি হবে কি না ভেবে বিবাহ স্থির করুন? Is this a proposal! I see there is a trick in it!”

 দিদি বলিয়া উঠিলেন—“কিন্তু আসল ব্যাপার আগে শোন! মফঃস্বলে যাবার আগে সে নিতান্তই অনুনয় বিনয় করে বিয়ের প্রস্তাব করেছিল, তাতে একটা আশার কথা শোনেনি। মফঃস্বল থেকেও সাধ্যসাধনা করে চিঠি লিখেছিল; কিন্তু তারও এক লাইন উত্তর পর্য্যন্ত পায় নি। এর পরে মানুষ আবার কি ক’রে তবুও feeling দেখায় বল? তারও ত সহ্যের একটা সীমানা আছে। আমি বলি তুমি তাকে স্পষ্ট করে তার মনের ভাব জিজ্ঞাসা কর—যদি বাস্তবিক তার এড়াবার ইচ্ছা