বেলা কাটিল, টেনিসের দল সমাগত হইলেন, বাহিরের ও বাড়ীর লোকে মিলিয়া আমরা সবশুদ্ধ দশজনে বাগানে সমবেত হইলাম। যদিও একটিমাত্র কোর্ট কিন্তু লোক অধিক না হওয়ায় তাহাতে খেলার তেমন অসুবিধা হইল না। পিশিমা খেলেন না—আমিও শারীরিক অবসন্নতার দোহাই দিয়া প্রথম হইতেই দর্শকশ্রেণীভুক্ত, অন্যেরা একদলের বিশ্রামে অপরদল খেলিতে লাগিলেন।
ডাক্তারও আসিয়াছিলেন, খেলার অবসরে নিকটে আসিয়া বসিলেন,–স্বাভাবিক মৃদুস্বরে বলিলেন—“আপনাকে ভারী দুর্ব্বল মনে হচ্ছে! আপনার দিদি বলছিলেন, আপনি ভারী careless, স্বাস্থোর দিকে আপনার মোটেই নজর নেই, নভেল পেলে খাওয়া দাওয়া পর্য্যন্ত ভুলে যান!”
আমি বলিলাম “কই। আজকাল ত পড়াশুনা একরকম ছেড়ে দিয়েছি বল্লেই হয়।”
প্রমোদা আমার কাছে বসিয়াছিল—সে বলিল—“পড়াশুনা ছেড়েছে কি না জানি না, তবে খাওয়া দাওয়া যে ছেড়েছে তার সাক্ষী আমি দিতে পারি। ডাক্তার মশায় ওকে একটা ওষুধ দিন না।”
ডাক্তার বলিলেন “gladly! আজই একটা প্রেসক্রিপসন লিখে দেব এখন, কিন্তু খাবেনত?”
আমি গল্প করিতেছিলাম—কিন্তু আমার দৃষ্টি ছিল টেনিস খেলার দিকে, ডাক্তারের প্রশ্নে আমি একটু হাসিয়া তাঁহার দিকে চাহিলাম,—দেখিলাম তাঁহার দৃষ্টি স্নেহপূর্ণ অতি মধুর, তাহাতে আমার মর্ম্মস্থল পর্য্যন্ত যেন ভরিয়া গেল, ব্যথিত অন্তর