দেশ হইতে ধীরে ধীরে, সুখের দীর্ঘ নিঃশ্বাস উঠিল, হৃদয়ের পাষণভার দ্রব হইয়া অশ্রুতে উথলিয়া উঠিতে চাহিল, কণ্ঠাগ্রে এই কথাগুলি আসিয়া আবার মিলাইয়া পড়িল—“আপনার ওষুধে কি আমার মনের অসুখ তাড়াতে পারবেন?”
মনের কথা মনে, চোখের জল চোখে চাপিয়া নতমুখী হইলাম। এই সময় তাঁহার ডাক পড়িল “I say Doctor,—come on, you are wanted here to make up a new set.”
তিনি ইহাতে কোন উত্তর না করিয়া আমাকে বলিলেন “আরবারে আপনাকে যে টনিক দিয়েছিলুম—তাতে কি উপকার হয়েছিল? কত দিন”—
ভগিনীপতি আবার ডাকিলেন–“I say come on”– চঞ্চল নিকটে আসিয়া বলিল “আপনি আসবেন না? আপনার জন্যে আমরা অপেক্ষা করছি—” তিনি একটু যেন থতমত থাইয়া একটু ইতস্ততঃ করিয়া বলিলেন “Am I really making you all wait? Oh it is too bad of me—”
বলিতে বলিতে তিনি চলিয়া গেলেন—প্রমোদা বলিল “ডাক্তার খুব ভাল লোক-না?” আমি কোন উত্তর করিলাম না।
তীব্র রোগাবসানে দুর্ব্বল দেহমনে নবস্বাস্থ্যের সঞ্চারে আবার জগতের দিকে চাহিয়া, আত্মীয় স্বজনের স্নেহাদর অনুভব করিয়া যে অবসাদময় স্বপ্নময় সুখ তাহার আস্বাদ যিনি লাভ করিয়াছেন, তিনিই আমার তখনকার মনের অবস্থা অনুভব করিতে পরিবেন।