নাদের সৌন্দর্য্য ছড়াচ্ছে। সেই নিভৃত সবুজ পাহাড়ের কুঞ্জে শাদা বরফের ঘরবাড়ী যখন সহসা চ’খে পড়ে—মনে হয় এ কোন পরীর রাজ্যে এসে পড়লুম!
দিদি। ঠিক বলেছিল! মণি কিন্তু বেশ বলে? আমি এমন বর্ণনা করে বলতে পারিনে!”
এই অযাচিত অকাল-প্রশংসায় লজ্জিত বিরক্ত হইয়া আমি চুপ হইয়া গেলাম,—ভগিনীপতি দিদিকে বলিলেন—“তোমার আর কি আমারি মত দশা। যা দেখেছ তা এক রকম ভুলে বসে আছ তা বর্ণনা করবে কি বল?
দিদি। আমার মনে ত আর দিনরাত মক্কেলের ভাবনা জাগছে না, যে অন্য সব ভুলে বসে থাকব?
ভগিনীপতি। আচ্ছা বল দেখি তবে বরফট কেমন দেখতে!
দিদি। না তাকি বলতে পারি? কিন্তু তোমাকে ত আর আমি পরীক্ষা দিতে বসিনি।
ভগিনীপতি। তবে আমিই পরীক্ষা দিই। কি চমৎকার সাদা ধবধবে! The sublimest, beautifulest, grandest—
দিদি। আর চালাকি করতে হবে না!
ডাক্তার বলিলেন—২৪ ঘণ্টা হাতে পেয়েও তোমার যে আশ মেটে না দেখছি হে; এই আধঘণ্টা ফাউটুকুও দখল করতে চাও। সমস্ত গল্পটা নিতান্তই যে একচেটে করে নিচ্ছ।”
ভগিনীপতি। I beg your pardon. I shall keep as quiet as a dummy.
দিদি। সেই ভাল। তুমি চুপ করে থাক আমরা গল্প করি। বরফটা জানেন, দেখতে আমাদের খাবার বরফের মত