ভগিনীপতি। এত দুঃখ কেন? কালোরূপে ও ত ভুবন মজেছে। তোমাদের–
দিদি! সুন্দর রূপে আরো মজে!
ভগিনীপতি। তা বলা যায় না। কি বল হে? সে সুর্য্যের দেশ থেকেও ত বিনা ফোস্কায় তাজা ফিরে এসেছ, এখন দেখ এদেশে এসে চাঁদের আলোতে স্থির থাক কি না? আমার দশা ত দেখতেই পাচ্ছ।
দিদি। তা নয়গো তা নয়। সূর্য্যের আলোতে ঝলসে উঠলেই লিন্ তখন চাঁদের আলোতে ঠাণ্ডা হতে আস। নইলে কি আর দেশকে মনে পড়ে? বাস্তবিক সেদেশে যেতে যেতেই সবাই কি ক’রে তার নিজেদেশ-আত্মীয়স্বজন সব ভুলে যায়— আমার ভারী আশ্চর্য্য মনে হয়।
ভগিনীপতি। আমার কি মনে হয় জান? সেদেশের এত charm সত্ত্বেও তবুও যে তারা একেবারে দেশ ভোলে না, তবুও যে বাঙ্গালি থাকে,—দেশে ফেরে,—বিয়ে না করে ফেরে, আর ফিরেই বিয়ে করে—এইটেই বেশী আশ্চর্য্য!
দিদি। তা যাওনা, তোমাকে ত কেউ বারণ করে নি, কেউত পা বেঁধে রাখেনি।
ভগিনীপতি। এই এই! জানছেন কি না তা হবার যো নেই-একেবারে শিকলি বাঁধা।
তাঁহাদের মানাভিমান চলিল,—আমি বলিলাম—“তাপর আপনার আর কি ভাল লাগত সেদেশে!
ডাক্তার। সব চেয়ে আমার কি ভাল লাগত শুনবেন? সেদেশের স্ত্রীলোকদের