ডুবু খেতে খেতে তীরে ওঠে—এ ও আর কি অনেকটা সেই রকম ব্যাপার?
দিদি হাসিয়া বলিলেন—“কি রকম!”
ডাক্তার। না জানি তাদের চাল চলন, ধরণধারণ, আদব কায়দা, এমন কি ভাষা পর্য্যন্ত। আমরা শিখেছি বয়ের ভাষা;— ফিলজফি পড়েছি, সয়েন্স পড়েছি,হিষ্ট্রী পড়েছি, সে সম্বন্ধে কথা উঠলে বরঞ্চ একঘণ্টা বকে যেতে পারি; কিন্তু ছোট ছোট সেণ্টেন্সে, প্রশ্নের উপর উত্তরে, কথার উপর কথা ঘুরিয়ে, ইনিয়ে বিনিয়ে—রসিকতা করে গল্প চালান, তাত শিখিনি। স্ত্রীলোকের সঙ্গে আলাপ করিয়ে দিলে এমন nervous এমন awkward feel করতুম! কি কথা কব ভেবেই পেতুম না। শুধু তাই নয়, এত দিন দেশে ডিক্সনারী দেখে দেখে সামান্য একটা অ্যাকসেণ্টের বিশুদ্ধতা ধরে এত হেঙ্গাম করে যে ইংরাজি উচ্চারণ শিখেছি—তাতে দেখি লাভ হয়েছে এই যে, ইংরাজি মুখের ইংরাজি উচ্চারণ ভাল ক’রে সব বুঝতেই পারিনে। আর এক জ্বালা, থেকে থেকে শুনতে পাই—‘তুমি অমুককে cut করেছ—সে তোমাকে রাস্তায় nod করেছিল—তুমি টুপি ওঠাওনি।’ Good heavens! কে আমাকে কখন nod করলে! আমিত কিছুই দেখিনি। প্রতিদিন এই রকম excuse করতে করতেই প্রাণ ওষ্ঠাগত। আসল কথা একে রাস্তার কোন দিক না দেখে চলাই আমার অভ্যাস—তাপর শাদা মুখগুলো সবই এমন একসা বলে মনে হয়-যে বিশেষ আলাপ পরিচয় না থাকলে এক আধবারের দেখা সাক্ষাতে মুখ চিনে নেওয়াই শক্ত। অন্য রকম বিপদু আবার আছে। দোকানে