এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
চতুর্দ্দশ পরিচ্ছেদ।
৯১

ভাব লক্ষ্য করিয়া সমবেদনার স্বরে চঞ্চল বলিয়া উঠিল—“আর তুমি কি না বল সেজন্য তোমার কিছুই আসে যায় না; একি চেহারা হয়েছে? আমার তার উপর এমন রাগ ধরছে! কি করে যে কাকারা দিদির সঙ্গে তার বিয়ে—

 “দিলেই বা!”

 “আচ্ছা ঠিক বলছ তুমি তাকে আর ভালবাস না! বিয়ে ভেঙ্গে গেছে বলে দুঃখিত হওনি?”

 “তুমি কি মনে কর তোমাকে আমি অঠিক কিছু বলব! কোন কথা তোমাকে বলতে না পারি, কিন্তু যা বলব তা বেঠিক বলব না,—এ বেশ জেনো।”

 চঞ্চল খুশী হইয়া আমার গাল টিপিয়া বলিল “সইলো আমার, তোকে কিন্তু ভাই বড় কেমন কেমন দেখাচ্ছে। তা এতটা একজনকে বিশ্বাস করেছিলি,—সে বিশ্বাসটা ভাঙ্গলে, সে জন্যও ত কষ্ট হত?”

 “হয়েছিল অবিশ্যি, তাত জানই। কিন্তু তাই বলে যদি ভাব আমি সেই কষ্টে এখনো মারা যাচ্ছি—তা হলে—

 “আমি হলে ত যেতুম! আমি যদি বিলাত থেকে এক হপ্তা চিঠি না পাই, এমন ভয় হয়, কি বলব।”

 “তোর যে বিয়ে হয়ে গেছে, তোর স্বামী ভুল্লেও যে তোর ভোলার পথ বন্ধ, আর ভোলাটাই আমাদের পক্ষে যুক্তি কেননা তাতেই আমাদের মুক্তি।”

 চঞ্চলও হাসিল, হাসিতে হাসিতে বলিল—“তা ঠিক! দিদিও (কুসুম) ত দেখছি বেশ আছে! আমি নিজের ভাব থেকেই