এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
চতুর্দ্দশ পরিচ্ছেদ।
৯৩

 “তা কি করে জানলে? যারা সহজে ভালবাসায় পড়ে না তারা ভালবাসলে বরঞ্চ সহজে না ভোলারই কথা!”

 “হ্যাঁ যদি তেমন ভালবেসে থাকে। কিন্তু সে রকমটা ত মনে হয় না। লোকটা একটু চটুকে রকম, কথাবার্ত্তায় খানিকটা চমক লাগাতে পারে—কিন্তু তার উপর যে কারো গভীর ভালবাসা হবে তাত আমি মনে করতে পারিনে। নিদেন আমার হলেত হোত না, আর দেখা যাচ্ছে তোমারো হয়নি। তাহলে দিদিরই কি হবে?”

 “বস্! খুব ত লজিক দেখছি!”

 “ইংরাজি নভেলে প্রায়ই ত দেখা যায় first love অনেক সময়েই অনভিজ্ঞ হৃদয়ের একটা শুধু উচ্ছাস, তেমন গভীর ভালবাসা নয়। দিদিরও এটা খুব সম্ভব সেই রকম একটা ফেণা উঠে জল বুদ্বুদের মত আবার মিলিয়ে পড়েছে। যথার্থ ভালবাসা হৃদয়ের একটা শিক্ষা,—সেট শুধু আবেগ নয়; তার উপযুক্ত পাত্রও চাই। হ্যা ডাক্তারকে কেউ ভালবাসছে শুনলে সেটা বোঝা যায় বটে। আজ কাল ত আমরা দিদিকে এইকথা নিয়ে ঠাট্ট করি,—তিনি কিনা তাদের ঘরাউ ডাক্তার হয়েছেন। আর মনে হয়—ডাক্তার বেশ একটু ধরা পড়েছে—”

 আমার হৃৎপিণ্ডে শোণিত বেগে বহিল; মনে হইল মুখে চোখে তাহা উছলিয়া উঠিতেছে, বুঝিবা এখনি ধরা পড়ি। কিন্তু চঞ্চল লক্ষ্য করিল না—বলিয়া উঠিল—”এই যে দিদি! অনেক দিন বাঁচবে, নাম করতে করতে হাজির।”

 অনেক দিন পরে কুসুমের সহিত দেখা। মনে হইল, সে যেন পরিবর্ত্তিত। তাহার নয়নে সেই বিদ্দ্যুদ্দাম প্রস্ফারণ চাপ