এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পঞ্চদশ পরিচ্ছেদ।
৯৫

পঞ্চদশ পরিচ্ছেদ।


কাহাকে? তাহাতে কি আর সন্দেহ আছে? চঞ্চল কি জানে? তার সব অনুমান বইত নয়! মিষ্টার ঘোষ যে এমন সুবিধার বিবাহ আপন হইতে ছাড়িবেন তাহা হইতেই পারেনা; কেন ছাড়িবেন, তাহার যখন কোন কারণই নাই। কুসুমই এ বিবাহে অসম্মত হইয়াছে। যতক্ষণ চন্দ্রোদয় না হয় ততক্ষণ নক্ষত্র দীপ্তিশালী, চন্দ্র উঠিলে কি আর তারার আলো চোখে লাগে? ডাক্তারের সহিত পরিচিত হইয়াই কুসুম মন পরিবর্ত্তন করিয়াছে —কুসুমের সহিতই ডাক্তার engaged; নহিলে ইঁহার নাম শুনিবামাত্র কুসুম ওরূপ বিহ্বলতা প্রকাশ করে কেন! বেচার রমানাথ! তাহার প্রতি আন্তরিক সহানুভূতির দীর্ঘ নিশ্বাস উঠিল।

 স্তব্ধ নিশায় শয্যাশায়ী একাকী আমি নির্ব্বাধে চিন্তামগ্ন হইয়া এইরূপ মীমাংসা করিতে করিতে আর একটি কথা সেই সঙ্গে বারম্বার এই ভাবিতেছিলাম—“কুসুম কি ভাগ্যবতী!” ইহার মধ্যে কি ঈর্ষা লুকান ছিল? নিশ্চয়ই। লোকে বলে এমন স্থানে ঈর্ষা না হইয়া যায়না-আমি কি আর সৃষ্টিছাড়া! তবে এ ঈর্ষা নিতান্তই নিরীহ ঈর্ষা, অপূর্ণ আকাঙ্খা উত্থিত নৈরাশ্য বেদনা;—আকুল দীর্ঘ নিশ্বাসে মাত্র তাহার বিকাশ ও তাহাতেই তাহার অবসান, বিকৃত বিরূপ বিদ্বেষপূর্ণ অভিশাপ ইহাতে ছিল না! থাকিবার কথাও নহে।—যেখানে অধিকারে, উপভোগে কেহ অপহারক সেখানে সেই অপহারকের প্রতি ক্রোধ বিদ্বেষ স্বাভাবিক। কিন্তু কুসুম আমার কাছে কি দোষে