পাতা:কাহিনী-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/১৬

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
পতিতা
১৩

বন্দনাগান রচিলা কুমার
জোড় করি করকমল দুটি।
করুণ কিশোর কোকিলকণ্ঠে
সুধার উৎস পড়িল টুটে,
স্থির অপোবন শান্তিমগন
পাতায় পাতায় শিহরি উঠে।
যে গাথা গাহিলা সে কখনো আর
হয় নি রচিত নারীর তরে,
সে শুধু শুনেছে নির্মলা উষা
নির্জনগিরিশিখর-’পরে।
সে শুধু শুনেছে নীরব সন্ধ্যা
নীলনির্বাক্ সিন্ধুতলে।
শুনে গ’লে যায় আর্দ্র হৃদয়
শিশিরশীতল অশ্রুজলে।


হাসিয়া উঠিল পিশাচীর দল
অঞ্চলতল অধরে চাপি।
ঈষৎ ত্রাসের তড়িৎ-চমক
ঋষির নয়নে উঠিল কাঁপি।
ব্যথিত চিত্তে ত্বরিত চরণে
করজোড়ে পাশে দাঁড়ানু আসি—
কহিনু, ‘হে মোর প্রভু তপোবন,
চরণে আগত অধম দাসী।’