এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
১৪
কাহিনী
তীরে লয়ে তাঁরে, সিক্ত অঙ্গ
মুছানু আপন পট্টবাসে-
জানু পাতি বসি যুগলচরণ
মুছিয়া লই এ কেশপাশে।
তার পরে মুখ তুলিয়া চাহি
উর্ধ্বমুখীন ফুলের মতো-
তাপসকুমার চাহিলা আমার
মুখপানে করি বদন নত।
প্রথম-রমণীদরশ-মুগ্ধ
সে দুটি সরল নয়ন হেরি
হৃদয়ে আমার নানীর মহিমা
বাজায়ে উঠিল বিজয়ভেরী।
ধন্য রে আমি, ধন্য বিধাতা
সৃজেছ আমারে রমণী করি।
তাঁর দেহময় উঠে মোর জয়,
উঠে জয় তাঁর নয়ন ভরি।
জননীর স্নেহ, রমণীর দয়া,
কুমারীর নব নীরব প্রীতি—
আমার হৃদয়বীণার তন্ত্রে
বাজায়ে তুলিল মিলিত গীতি।
কহিলা কুমার চাহি মোর মুখে,
‘কোন্ দেব আজি আনিলে দিবা
তোমার পরশ অমৃত সরস,
তোমার নয়নে দিব্য বিভা।