পাতা:কাহিনী-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/৬১

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
৫৮
কাহিনী

প্রতিজ্ঞা করিনু আমি, ‘দস্যুরক্তপাতে
লর এর প্রতিশোধ!’ বহুদিন পরে
হয়েছি সে পণ-মুক্ত। নিশীথসমরে
জীবাহি ত্যজিয়া প্রাণ বীরের সদ্গতি
লভিয়াছে। রে বিধবা, সেই তোর পতি-
দস্যু সে তো ধর্মনাশী!

অমাবাই


ধিক্‌ পিতা, ধিক্‌,
বধেছ পতিরে মোর— আরো মর্মান্তিক
এই মিথ্যা বাক্যশেল। তব ধর্ম-কাছে
পতিত হয়েছি, তবু, মম ধর্ম আছে
সমুজ্জ্বল। পত্নী আমি, নহি সেবাদাসী।
বরমাল্যে বরেছিনু তাঁরে ভালোবাসি
শ্রদ্ধাভরে; ধরেছিনু পতির সন্তান
গর্ভে মোর, বলে করি নাই আত্মদান।
মনে আছে দুই পত্র একদিন রাতে
পেয়েছিনু অন্তঃপুরে গুপ্তদূতী-হাতে।
তুমি লিখেছিলে শুধু, ‘হানো তারে ছুরি।’
মাতা লিখেছিল, ‘পত্রে বিষ দিনু পুরি,
করো তাহা পান।’ যদি বলে পরাজিত
অসহায় সতীধর্ম কেহ কেড়ে নিত
তা হলে কি এতদিন হত না পালন
তোমাদের সে আদেশ। হৃদয় অর্পণ