এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
নরকবাস
৭৩
লজ্জা আসি করি দিল দ্রুত পদাঘাত
দৃপ্ত রোষসর্পশিরে। করি প্রণিপাত
গুরুপদে, কহিলাম বিনম্র বিনয়ে,
‘ভগবন্, শান্তি নাই এক পুত্র লয়ে,
ভয়ে ভয়ে কাটে কাল। মোহবশে তাই
অপরাধী হইয়াছি- ক্ষমা ভিক্ষা চাই।
সাক্ষী থাকো মন্ত্রী-সবে, হে রাজ্যগণ,
রাজার কর্তব্য কভু করিয়া লঙ্ঘন
খর্ব করিব না আর ক্ষত্রিয়গৌরব।’
ঋত্ত্বিক
কুষ্ঠিত আনন্দে সভা রহিল নীরব।
আমি শুধু কহিলাম বিদ্বেষের তাপ
অন্তরে পোষণ করি, ‘এক-পুত্র-শাপ
দূর করিবারে চাও, পন্থা আছে তারও-
কিন্তু সে কঠিন কাজ, পারো কি না পারো
ভয় করি।’ শুনিয়া সগর্বে মহারাজ
কহিলেন, ‘নাহি হেন সুকঠিন কাজ
পারি না করিতে যাহা ক্ষত্রিয়তনয়,
কহিলাম স্পর্শি তব পাদপদ্মদ্বয়।’
শুনিয়া কহিনু মৃদু হাসি, ‘হে রাজন্,
শুন তবে। আমি করি যজ্ঞ-আয়োজন,
তুমি হোম করো দিয়ে আপন সন্তান।
তারি মেদগন্ধধূম করিয়া আঘ্রাণ
মহিষীরা হইবেন শতপুত্রবতী,