পাতা:কাহিনী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
কাহিনী
৫১

কিন্তু রে শুধাই তোরে কারে ক’স্ পতি
লজ্জাহীনা! কাড়ি নিল যে ম্লেচ্ছ দুর্ম্মতি
জীবাজির প্রসারিত বরহস্ত হতে
বিবাহের রাত্রে তোরে-বঞ্চিয়া কপােতে
শ্যেন যথা লয়ে যায় কপোত-বধূরে
আপনার ম্লেচ্ছ নীড়ে,—সে দুষ্ট দস্যুরে
পতি ক’স তুই!—সে রাত্রি কি মনে পড়ে?
বিবাহ সভায় সবে উৎসুক অন্তরে
বসে আছি,―শুভলগ্ন হল গত প্রায়,―
জীবাজি আসে না কেন সবাই শুধায়,
চায় পথপানে। দেখা দিল হেনকালে
মশালের রক্তরশ্মি নিশীথের ভালে,
শুনা গেল বাদ্যরব। হর্ষে উচ্ছ্বসিল
অন্তঃপুরে হুলুধ্বনি। দুয়ারে পশিল
শতেক শিবিকা; কোথা জীবাজি কোথায়
শুধাতে না শুধাতেই, ঝটিকার প্রায়
অকস্মাৎ কোলাহলে হতবুদ্ধি করি’
মুহূর্ত্তের মাঝে তােরে বলে অপহরি
কে কোথা মিলাল। ক্ষণপরে নতশিরে
জীবাজি বন্ধনমুক্ত এল ধীরে ধীরে―
শুনিনু কেমনে তারে বন্দী করি পথে,
লয়ে তার দ্বীপমালা, চড়ি তার রথে,
কাড়ি লয়ে পরি তার বর-পরিচ্ছদ
বিজাপুর যবনের রাজসভাসদ্