পাতা:কিন্নর দল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

》》b^ किबद्ध ळ কাকা বললেন, ও অঙ্ক তো আলজেব্রার প্রসেস অনুযায়ী আপনি করতে পারবেন না । যাই হোক, তিনি কিন্তু কোন উপায়েও আমায় অঙ্কটা বুঝিয়ে দিতে পারলেন না। তিনি চলে যাবার পর কাকী বললেন, মাস্টার, তত সুবিধের নয়। এমন সময়ে বিশ্বকৰ্ম্ম পুজ এল। আমরা বললুম, মাস্টার মশাই, আমাদের ঘুড়ী লাটাই কিনে দিতে হবে। তিনিও রাজী হলেন কারণ তিনি সম্প্রতি মাইনে পেয়েছিলেন। তিনি আমাদের সেন্ট জেমস স্কোয়ারের দক্ষিণ কোণের একটা মনোহারী দোকান থেকে এক টাকার প্রায় ঘুড়ী লাটাই কিনে দিলেন। কিন্তু আমাদের তিনি যা কিনে দিতেন সে সম্বন্ধে কাউকে কিছু বলা নিষেধ ছিল। এসব লুকিয়ে লুকিয়ে আমাদের দিতেন। রেবার জন্মদিনে তিনি তিন টাকা দামের একটা কলের রেলগাড়ী কিনে দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, কাউকে বোলো না যেন ঘূণাক্ষরে। বিশ্বকৰ্ম্ম পুজার দিন চারেক পর একদিন শ্ৰীনাথ দাস লেনে মাস্টার মশাইয়ের সঙ্গে দেখা। আমি নমস্কার করলুম। তিনি বল্লেন, এই যে পিণ্ট, যে। কোথায় চলেছে ? আমি বললুম, আপনি কোথায় থাকেন মাস্টার মশাই ? তিনি বললেন, এইখানেই । চলুন না দেখে আসি। কি জানি কেন মাস্টার মশাইয়ের বাড়ী দেখবার জন্যে আমি অত্যন্ত উতলা হলুম। তিনি দ্বিধায় আমায় নিয়ে গেলেন তাঁর অপূৰ্ব্ব গৃহে। টিনের চাল দেওয়া একখানা মেটে বাড়ীর দোতালার একখানা ছোট্ট ঘরে থাকেন। সরু ভাঙ্গা সিড়ি দিয়ে ওপরে উঠতে ভয় করে। ফালি বারান্দাটা মানুষের ভারে সামান্য কঁপে। আস্তে আস্তে