পাতা:কিন্নর দল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

किचन गन ধরণের হাসি তার মুখে নতুন। আর কত ভাবেই সেবা করিতে সে চেষ্টা করিত, শাক তুলিয়া, তরকারী কুটিয়া দিয়া। আগে আগে আসিয়া চালের বাত ধরিয়া দাড়াইয়া থাকিত, ইদানীং দাওয়ার কোণে ওইখানটায় বসিত। তার মুখের ভাব দিন দিন যেন আরও সুশ্ৰী হইয়া উঠিতেছিল। পলাশপুরে তো কত লোক আছে, হাটতলায় তো কত লোক যাতায়াত করে, এই দরিদ্র ডাক্তারের নিঃসঙ্গ জীবনের প্রতি কেহই তো। অমন দরদ দেখায় নাই-তাই বলি পুরুষমানুষের মেয়েমানুষের মত বন্ধু কোথায় ? গত ফাস্তুন মাসে উপরি উপরি কয়েকদিন সে আসিল না। মনটা উদ্বিগ্ন হইয়া উঠিল। এমন তো কখনও হয় না। দু তিন দিন পরে কানে গেল বিধু গোয়ালিনীর মেয়ের টাইফয়েড হইয়াছে। কেহ ডাকিতে না আসিলেও দেখিতে গেলাম। দেখিয়া শুনিয়া বুঝিলাম, এ বয়সে টাইফয়েড, শিবের অসাধ্য রোগ। প্ৰাণপণে চিকিৎসা করিতে লাগিলাম-উহারা সাতদিন পরে আমার উপরে আস্থা হারাইয়া ডাকিল ইন্দু ডাক্তারকে । আমাকে রোগশয্যার পাশে দেখিয়া প্রমোর মুখ আনন্দে উজ্জ্বল হইয়া উঠিয়াছিল প্ৰথম দিন। শুনিলাম ইন্দু ডাক্তার যে দিন দেখিতে আসিয়াছিল, সে দিন সে ইন্দু ডাক্তারের ঔষধ খাইতে চায় নাই। মরণের ছয় সাত দিন পূর্ব হইতে সে अलांम अदक्षांश छिल । আজ কয়েক মাস হইল আমি আবার যে একা, সেই একা । কে আর আমার জন্য শাক, ডুমুর, ঘোটকোলের ডগা তুলিয়া দিবে, এখন আবার সেই আম-ভাতে ভাত । বর্ষা সামিয়া গিয়াছে। রাস্তাঘাটে বেজায় কাদা, মশার উৎপাত বাড়িয়াছে। হাটতলার চারিপাশের বাগানের বড় বড় গাছের মাথায়