পাতা:কিরণ মালা (নবীন কালী দেবী).pdf/৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিশ্বাসের বশবর্তিনী । سياسي প্রায় নিকট বাৰ্বন-বাট কিঙ্কিং দূরে একটা আম্রবৃক্ষ আছে তাহার তল দিয়া যাইতে হয়। তথায় চন্দ্রালোক নাই । মধুমতী তন্থক্ষের তল দিয়া যাইতে যাইতে অন্ধকারে একটা মনুষ্য মূৰ্ত্তি দেখিতে পাইলেন। ক্রমে যেন নিকটবৰ্ত্তী বোধ হইল, ভীত স্বভাবী রমণীর হৃদয়ে ভয়ের সঞ্চার হইল, তদর্শনে তিনি সভয়ে দাড়াইলেন। ক্রমে মূৰ্ত্তি সম্মুখে আসিয়া দাড়াইল । মধুমতী সাহসে ভর করিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন—“কে গা ?’, মূৰ্ত্তি কিয়ৎক্ষণ স্থির ভাবে দণ্ডায়মান রহিল । পরে কহিল—“ আমি। " মধু।–“তুমি কে ? ” মূৰ্ত্তি —“ আমি বসন্ত ।” । মধু।–(সক্রোধে) “পাপ । এখানে আবার কেন ? কি জন্য আসিয়াছিল?" বসন্ত –(কাতরে) “আজ যদি না বল তবে তোমার কাছে হত্যা হইব ।” - মধুমতী –(সক্রোধে) “আমি বিশ্বাসঘাতিনী নহি যে, বলিব। তুমি সে আশা পরিত্যাগ কর।” এই বলিয়া পূৰ্ব্ববং গৃহাভিমুখে চলিলেন । এমন সময়ে কে যেন তথা হইতে সরিয়া গেল । সে কে ? সে রমাকান্তের বাটির দাসী মাত ঙ্গিনী—দুষ্ট মাতঙ্গিনী । মধুমতী বাটিতে প্রবেশ করিব মাত্র মাতঙ্গিনী কহিল—“তোমার গুপ্ত কথা সকল্প শুনিয়াছি, কাল বাবুকে বলিয়া দিব । ”