পাতা:কিরণ মালা (নবীন কালী দেবী).pdf/৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8Հ কারারুদ্ধা । গিয়াছিলেন,—আর তাহারই কৌশলে এক্ষণে কারাগারে বন্ধন যাতনা ভোগ করিতেছেন । জাহ্নবীতে জীবন বিসর্জন করিতে গিয়াছিলেন, কৃতকাৰ্য্য হইতে পারেন নাই, কারণ ধরিয়া আনিয়া বন্ধন করত ঘরে চাবী দিয়া রাখিয়াছে। ভাগ্যহীন মধুমতীর স্বামী নাই, মধুমতী যখন পঞ্চদশ বর্ষিয়া, তখন তাহার স্বামী খ্ৰীষ্টয়ান হইয়া যায়, যাইবার কালীন নৌকায় আরোহণ করিতে যাইবার সময় একবার দেখা হইয়াছিল,—সেই অবধি আর সাক্ষাৎ হয় নাই। মধুমতী জানিতেন তাহার পতি জীবিত আছেন, কখন না কখন দেখা হইবে। কিন্তু অদ্য সাত বৎসর হইল, তাহার মৃত্যু হইয়াছে ; লোকে পথে ঘাটে কানাকানি করিত সাক্ষাতে কেহ বলিত না এজন্য এতদিন মধুমতী জানিতে পারেন নাই। এক্ষণে মধুমতী দ্বার। সেই মৃত বৎসা সুষমার অতীষ্ট সিদ্ধ না হওয়ায়, অদ্য তাহার স্বামীর মৃত্যু সংবাদ বাণে মধুমতীর হৃদয় যাবজ্জীবনের জন্য বিদ্ধ করিয়াছে। তবে তাহার বাচিয়া কি সুখ । এতদিন আশার প্রদীপ ক্ষীণালোকে জলিতেছিল। এখন নিরাশ পবনে সে দীপ নিৰ্ব্বাণ হইয়া গিয়াছে। জীবনে আর ফল কি ? তিনি কুমারী অবস্থায় মাতৃহীন হন। তাহার পিতা তাহাকে লইয়া কাশীবাসী হইয়াছিলেন, বিধাতার তাহা সহ হইল না, অচিরাং মধুমতীকে পিতৃবিয়োগ শোকে নিমগ্ন ইতে হইল। অদ্য নয় বংসর হইল তাহার পিতার মৃত্যু হইয়াছে—মৃত্যুকালীন তাহার জ্যেষ্ঠ ভগিনী সাবিত্ৰি:ক আনয়ণ করত তাহার