পাতা:কিশোর (দ্বিতীয় সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/১৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফাষ্ট প্রাইজ না দিতে পারি, তবে সে আমাদের বাড়ী থেকে বার ক’রে দেবে। আমার এই বইগুলো রেখে আমাকে দুইটি টাকা দিন, তা হলে আর বাড়ীওয়ালা আমাদের তাড়িয়ে দিতে পারবে না ।” বালকের এই দুঃখের কাহিনী, তাহার এই সরল প্ৰাণস্পর্শী কথা শুনিয়া উপস্থিত সকলেরই চক্ষু জলভারাক্রান্ত হইল। সভাপতি মহাশয় রুমালে চক্ষু মুছিয়া বলিলেন, “তোমার বাপ ভাই কি কেহই নাই ?” এই বার প্রধান শিক্ষক মহাশয় উত্তর করিলেন, “আজ ছয়মাস হইল অমরের পিতার মৃত্যু হইয়াছে; সংসারে উপাৰ্জন করিবার লোক আর কেহই নাই । একদিন অমরের মা আমার বাড়ীতে গিয়া উহাকে ফ্রি করিবার জন্য অনুরোধ করেন, সেই সময় উহাদের দুরবস্থার কথা শুনিয়াছিলাম। উহাকে স্কুলের বেতন দিতে হয় না। বইগুলিও আমরাই সংগ্ৰহ করিয়া দিই।” এই কথা ‘শুনিয়া সভাপতি মহাশয় বলিলেন, “অমর, বাড়ীতে তোমার কে কে আছেন ?” অমর বলিল, “মা আছেন, আর আমার দিদি আছেন। দিদি বিধবা, তাহারও কেউ নেই।” সভাপতি মহাশয় বলিলেন, “তোমাদের এতদিন কেমন করিয়া চলিল ?” অমর বলিল, “আমাদের যাহা কিছু ছিল, সব বিক্ৰী হয়ে গিয়েছে । আমার কাপড় জমা পৰ্য্যন্ত বিক্ৰী ক’রে

  • SK)