পাতা:কিশোর (দ্বিতীয় সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মায়ের বলি দিন পূর্বেই বাড়ী আসিয়াছিলেন, এবং যথারীতি পূজার আয়োজন করিতেছিলেন । একদিন অপরাহ্বকালে চট্টোপাধ্যায় মহাশয় ভ্ৰমণে বাহির হইয়াছেন, সঙ্গে দুই তিন জন আশ্রিত অনুগত ভদ্রলোক আছেন। তঁহারা যখন মতির বাড়ীর সম্মুখে, উপস্থিত হইলেন, তখন দেখিলেন, মতির উঠানে একটা বেশ হৃষ্টপুষ্ট কৃষ্ণবর্ণ ছাগ দাড়াইয়া আছে। একজন ভদ্রলোক সেই ছাগটীি দেখিয়া বলিলেন, “বাৰু, বেশ পাঠাট । এই রকম কালো পাঠা মায়ের নিকট বাল দিলে সত্যসত্যই বলি দেওয়া সার্থক হয়।” : . ভদ্রলোকটীর এই কথ, শুনিয়া চট্টোপাধ্যায় মহাশয় মতির উঠানের দিকে চাহিয়া দেখিলেন । সত্যসত্যই ছাগটিী বেশ হৃষ্টপুষ্ট। তিনি তখন ভদ্রলোকটীকে বলিলেন, “মিত্তিরজা, দেখা ত ভাই, মতি বাড়ীতে আছে কি না ? তার কাছ থেকে এই পাঠাটা কিনে নেওয়া যাক।” চাটুয্যে মহাশয়ের কথা শুনিয়া মিত্ৰ মন্ত্রাশয় মতির উঠানের উপর যাইয়া “মতি, ঘরে আছ?” বলিয়া দুই তিন বার ডাকিতে একটী সাত আট বৎসরের বালক বাহিরে আসিয়া বলিল, “বাবা ত বাড়ীতে নেই, নালাপাড়ার হাটে গেছে।” মিত্ৰ মহাশয় তখন বলিলেন, “তোর বাপ বাড়ীতে এলে