পাতা:কিশোর - জলধর সেন.pdf/১৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফাষ্ট প্রাইজ তোমাদের প্রাইজ, কা’ল তা আর পড়া হবে না । তবে আর আজ এত রাত্ৰি পৰ্যন্ত নাই পড়লে। এখন বই তুলে রেখে যে কয়টি ভাত আছে, তাই খেয়ে ঘুমাও।” অমর মায়ের মুখের দিকে চাহিয়া বলিল, “মা, কা’ল পড়া হবে না, কিন্তু আমাকে একটা কবিতা মুখস্থ বলতে হবে । সেটা এই কাগজে লিখে এনেছি ; সেইটা বেশ ভাল ক’রে মুখস্থ করছি ; কি জানি কা’ল অত লোকের মধ্যে যদি হঠাৎ ভুলে যাই, তা হ’লে আমি ত লজ্জা পাবই, মাষ্টার মহাশয়েরাই বা কি বলবেন । তঁরা বিনে মাইনেতে পড়াচ্চেন, দরকার হ’লে দুই একখানা বইও কিনে দিচ্চেন । ভূই সে কবিতাটা বারবার পড়ছি । দিদিকে একবার শুনিয়েছি, তখন একটা কথাও বাধে নি। কেমন দিদি ?” নিরুপমা বলিল, “হঁ, বেশ মুখস্থ হয়েছে, উচ্চারণও ঠিক হয়েছে। যেখানটা যেমন ক’রে বলতে হবে, তাও ঠিক হয়েছে। তবে কা’ল অত লোকের মধ্যে মাথা ঠিক থাকলেই হয়। দেখ অমর, তোমাকে কাল যখন আবৃত্তি করবার জন্য ডাকবে, তখন তুমি লোক জন কারু দিকে চেয়ে দেখো না । যেটা তোমাকে বলতে দিয়েছেন, সেটা ঈশ্বরের স্তোত্র কি না। তুনি এক কাজ করে। তুমি নতশিরে হাতযোড় ক'রে বেশ ধীরে ধীরে বলতে আরম্ভ করো, মনে 06: