সরস্বতীর কৃপা নয়টি টাকা বাড়ীতে দিই, পাঁচটি টাকা ধার শোধ দিই, বাকী চারিটি টাকায় এখানকার খরচ চালাই ।” অবিনাশ বাবু বলিলেন, “চার টাকায় চলে কি ক’রে ? “আপনার বোধ হয় বাসা-খরচ লাগে না !” উমেশচন্দ্ৰ বলিলেন, “আস্তেজ্ঞ,-বাসা-খরচ করতে হয়। বই কি ?” অবিনাশ বাবু বলিলেন, “বাসা-খরচ করতে হয়! বলেন কি ? চার টাকায় যে মাসে একবেলার খোরাকীও চলে না !! আর কোথাও কিছু পান বুঝি ?” উমেশচন্দ্ৰ বলিলেন, “আজ্ঞে না, ঐ আঠারোটি টাকাই সম্বল। চারটি টাকায় দু'বেলার আহার চলে না। ব’লে, রোজ একবেল খেয়েই থাকি, দিনে আর কিছুই খাই না । এ সকল কথা কাকেও বলিনে ; আপনি মনিব, জিজ্ঞাসা ক’রলেন, তাই বলতে হোল।” উমেশচন্দ্রের কথা শুনিয়া অবিনাশ বাবু বড়ই ব্যথিত হইলেন। আহা ! ভদ্রলোকের ছেলের এত কষ্ট ! একটু চিন্তা করিয়া তিনি বলিলেন, “আপনার যে এত কষ্ট, তা” ত আমাকে একদিনের জন্যও জানান নাই।” উমেশচন্দ্ৰ বলিলেন, “আমার মত অবস্থা যাদের, তাদের সকলেরই ত এই রকম কষ্ট ! আর সে কথা YRA
পাতা:কিশোর - জলধর সেন.pdf/১৫৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।