পাতা:কিশোর - জলধর সেন.pdf/১৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দিই। ; মা মনে করেন, উহা বুঝি আমার ওকালতীর উপাৰ্জন। বাড়ীতে খরচপত্রের কষ্ট হয় ; কিন্তু কি করিব, কোন উপায়ই দেখি না। পূর্বে পাঁচ আনা ট্রাম ভাড়া দিতাম, এখন বাড়ী হইতে ধৰ্ম্মতলা পৰ্য্যন্ত হঁটিয়া যাই, সেখানে ট্রামে চড়ি। ক্ষুধায় কাতর হইলেও এক পয়সার খাবার কিনিয়া খাই না-সে। পয়সাটা থাকিলে যে আমার ধ্রুবের জলখাবারের সাহায্য হইবে । হায় । এম-এ, বি-এল, উকিলের ভাগ্য ! বৈশাখ মাসে বাবা মারা যান, তাহার পর হইতেই আমাদের এই অবস্থা । দেখিতে দেখিতে আশ্বিন মাস আসিল—তখনও পূজার প্রায় পািনর দিন বাকী ; কিন্তু কলিকাতা সহরে উৎসবের সাড়া পড়িয়া গিয়াছে। দোকানদারেরা নূতন নূতন পণ্যদ্রব্যে দোকান সাজাইয়া বসিয়াছে। যাহার পয়সা আছে, সে নানা আবশ্যক অনাবশ্যক দ্রব্য কিনিতেছে ; জুতা জামা অলঙ্কারের অর্ডার দিতেছে ; আর আমার মত যাহার পয়সা নাই। অথচ আমার ধ্রুবের মত পুত্ৰ আছে, সে সুসজ্জিত দোকানের দিকে চাহিয়া দেখিতেছে আর দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলিয়া ব্যথিত হৃদয়ে চলিয়া যাইতেছে । একদিন অপরাহু কালে আলিপুর হইতে ফিরিবার সময় Sy"