পাতা:কিশোর - জলধর সেন.pdf/২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মায়ের বলি ( ) মতি বাড়িতে আসিয়া তাহার স্ত্রীকে সকল কথা বলিল। দুই দিনের মধ্যে জমিদারের খাজনা দিতে না। পারিলে অদৃষ্টে অপমান ত আছেই, তাহার পর কি হইবে, আল্লাই তাহ জানেন ।--মতির কথা শুনিয়া তাহার স্ত্ৰী লছিমন বিবি বলিল, “তাই ত গো, আমি যে কিছুই ঠাহর ক’রে উঠতে পারাচি নে ! পাঠাটা বেচে ফেললে খাজনা শোধ হয় তা বুঝি, কিন্তু ছেলেটা যে, কেঁদে খুন হবে ! পাঠােটাকে সে এক লহমা চোখের আড় করতে চায় না । ওর উপর তার দরদ কত ! মা দুশ্মির কাছে ওটাকে জবাই করবে। শুনলে কি বাছা আমার বাঁচবে’ ! কেমন ক’রে ওটাকে বেচে ফেলা যায় বল দিকিনা ?” দুইজনে অনেক পরামর্শের পর স্থির করিল, পাঠােটা চাটুয্যে মশাইকে দেওয়াই কৰ্ত্তব্য। তবে তঁাকে বলতে হবে, যে দিন তাদের দরকার সেই দিনই পাঠাটা দিয়ে আসা হবে, তার আগে নয়। '-মতি অপরাহ্নকালে চাটুয্যে বাড়ী গিয়া কৰ্ত্তাকে এ কথা জানাইল । চাটুয্যে মহাশয় খুন্সী হইয়া বলিলেন, “বেশ, তাই হবে। আমি সপ্তমী পূজার দিন প্ৰথম বলি ঐ পাঠাটী দিয়েই দেব মনে করেছি। সেই দিন সাতটার মধ্যে পাঠাটী এনে দিস, ন’টার মধ্যেই সপ্তমী ܘܶ