পাতা:কিশোর - জলধর সেন.pdf/৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

'মায়ের বলি, নাই। চক্ষু ফিরাইতেই মণ্ডপস্থিত, উজ্জ্বল আভরণ-বিভূষিতা, অসুর-স্কন্ধারূঢ়ামা দশভুজার মুখের দিকে তঁাহার দৃষ্টি পড়িল, বৃদ্ধ দেখিলেন, মায়ের নয়নেও সেই স্নেহ-করুণ বেদনা-মাখ মিনতি-ভরা ভাব । তাহার হৃদয়ের মধ্যে কেমন করিয়া উঠিল । তিনি কিয়ৎক্ষণ এই অপূর্ব দৃশ্য দেখিলেন, তাহারু পর ভূত্যদিগকে বলিলেন, “ওকে কিছু বলে না।” তৃহার পর বৃদ্ধ ধীরপদবিক্ষেপে, ব্যাকুল হৃদয়ে চণ্ডীমণ্ডপে উঠিয়া গেলেন এবং গললগ্নীকৃতবাসে মায়ের দিকে চাহিয়া বলিলেন, “মা জগদম্বা, আজ এ কি দেখালি মা ! এ তোর কি খেলা !” বৃদ্ধ আর কথা বলিতে পারিলেন না, র্তাহার কণ্ঠরোধ হইয়া গেল, তঁহার চক্ষু দিয়া অবিশ্রান্ত অশ্রত্নপাত হইতে লাগিল । পূজার শেষে বলির বাজনা বাজিয়া উঠিল। সেই শব্দে যেন তঁহার মোহ ছুটিয়া গেল। তিনি ব্যগ্ৰভাবে চণ্ডীমণ্ডপের বারান্দায় আসিলেন এবং খড়গধারী মল্লবেশী কামারের দিকে চাহিয়া আদেশ করিলেন, “আজ হইতে আমার বাড়ীতে বলি বন্ধ ।” ঢাকের বাজনা বিস্ময়ে হঠাৎ থামিয়া গেল।