পাতা:কুটীরের গান - ধীরেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এলো রাত্রি, অন্ধকার বিথারিয়া ঘনবনতলে । অসহ মৌনের ভারে গ্ৰহতারা যেন দলেদলে থমকি রহিল শূন্যে ; প্রহরের স্থির গতিহীন ; একটি রাত্রির বুকে ডুবিয়াছে চির রাত্রি-দিন । নাহি ধ্বনি ক্ষীণতম, পাখীদের পক্ষ-বিধুনন, বনভূমি রুদ্ধবাক্, সভয়ে হেরিছে দুঃস্বপন । উৰ্ম্মিহীন বায়ুস্তর, স্তব্ধ যেন প্রচণ্ড আবেগে, সমুদ্র থেমেছে যেন আসন্ন ঝঞ্চার কালোমেঘে । দিগ্ধ্যাপিনী এ কি মূৰ্ত্তি! সমাস্তুত দীর্ঘ জটাজাল মুহূৰ্ত্তে সংহত করি আসিলে কি তুমি মহাকাল ? ক্ষত্রের অশ্রুজল দৃঢ় হ’য়ে হয়েছে পাষাণ, পঞ্জরাস্থি গড়িয়াছে যুগে যুগে প্রস্তর-সোপান, তারি’পরে দাড়াইয়া কোটি-জীব-কঙ্কাল-বেদীতে হেরিছ কি অন্ধকারে রক্তসিন্ধু বেগে তরঙ্গিতে ? ছিন্ন হৃদি মানবের। বক্ষভাঙা দীর্ণ হাহাকারে চাহে স্থির নীলাকাশে,—স্তম্ভিত প্রহরী সারে সারে বাক্যহীন সারা রাত্রি,—নিশীথের স্তব্ধতা ঘনায় ! সাত্তন আনেন কেহ, আঁখি তুলে কেহ নাহি চায় ! ૭૨