পাতা:কুটীরের গান - ধীরেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুটীরের গান মাঝে মাঝে ঝঞ্চ জাগে, অসহন অনাবৃত নীল অাবরিয়া কৃষ্ণান্বরে, তমিস্রায় ডুবায়ে নিখিল । উচ্ছলিয় ওঠে নদী। কম্পমান বনস্পতি-শিরে রোষ-কষায়িত-আঁখি ভীমবঞ্জ গরজে গম্ভীরে । কঙ্কাল-করোটি-রন্ধে জাগে তীব্ৰ হাহাকার-গান ! কুৎসিত অস্থির মালা, কোথা রূপ ? কোথা দেহ, প্রাণ ? মুমূযু সন্তান-শিরে নিম্পলক আঁখি করি নত, চেতনে চেতনাহারা স্পন্দহীন৷ পাষাণীর মত? একাকিনী বসি মাতা, মৃত্যুচ্ছায়া ঘনায় কুটীরে ; অন্ধকার অমারাত্রি, বৃষ্টিবায়ু গরজিয়া ফিরে, জলধারা পশে আসি’ সন্তানের শয়ন-শিথানে, - মানে না মায়ের বাধা, ফিরে ফিরে’ আসে শয্যা-পানে । —তুলিয়া কঁাপিয় ওঠে জীর্ণগৃহ সুতীব্র পবনে, । নিবে যায় গৃহদীপ, গর্জে মেঘ বিদারি গগনে। ক্ষীণ দুটি বাহু-পাশে শিহরিয়া সন্তানে জড়ায়, .পদধ্বনি অন্ধকারে । মৃত্যুদূত এলে বুঝি হায়! একি লীলা ভয়ঙ্করী ? নিয়তির এ কি নিষ্ঠুরতা ? বোঝেন মমতা ব্যথা, শোনেন করুণ কাতরতা, জানেন মাটির বুকে প্রতি তরু শিকড় জড়ায় ; ছিড়ে লও, তবু তা’র দৃঢ়মূল কিছুতে না যায়। ১৩