পাতা:কুমারসম্ভব কাব্য - দীননাথ সান্যাল.pdf/৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় সর্গ। ৪০ । সেই বসন্তাবির্ভাব-কালে মহাদেব - অপলরাদিগের গান শুনিয়াও আত্মানুসন্ধানপর রহিলেন ; কারণ, সাহাদের চিত্ত বশে থাকে, এইরূপ বহির্বিল্প-সকল তাহাদের সমাধি-ভঙ্গকরিতে কখনই সমর্থ হয় না । ৪১। এইরূপ বসন্ত-সমাগম হইলে, নন্দী লতা-গৃহ-দ্বারে ( দাড়াইয়া ), বাম হস্তে হেম-বেত্র ধারণ করিয়া, এবং মুখে ( দক্ষিণ হস্তের ) তর্জনী অপর্ণ করিয়া, সঙ্কেতে প্রমথগণকে শিক্ষা দিতে লাগিলেন—“দেখ যেন চপল হইও না” । { দক্ষিণ হস্তের তজ্জনী মুখোপরে অর্পণ করা নিষেধ-ব্যঞ্জক । ] ৪২। নন্দীর শাসনে (তখন ) সেই সমগ্র কাননের { সেই কাননস্থ সর্বববিধ জীবের ) কার্য্যোদ্যম যেন চিত্রাপিতবৎ হইয়া রহিল ;–বৃক্ষ সকল নিষ্কম্প, ভৃঙ্গগণ নিশ্চল, পক্ষী সরীস্থপাদি নিঃশব্দ, ও মৃগগণ নিবৃত্ত-গতি, হইয়া অবস্থিতি করিতে লাগিল । এখানে উদ্ভিজ্জ, স্বেদজ, অণ্ডজ ও জরায়ুজ সকল প্রকার জীবই উল্লিখিত হইয়াছে । ] ৪৩। যুদ্ধযাত্রাকালে যেমন শুক্র-সম্মুখীন দেশ পরিত্যাগ করিয়া যাইতে হয়, কামদেবও তেমনই নন্দীর দৃষ্ট্রি-পাত