পাতা:কুমার সম্ভব (কৃষ্ণকমল ভট্টাচার্য্য).pdf/১০২

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
সপ্তম সর্গ।
৯৩

 সুগঠন-শরীরা সেই পার্ব্বতীর অধরের মধ্য-দেশে একটী রেখা ছিল, সেই অধরে কিঞ্চিৎ মধুত্থ লেপন করাতে উহার রক্তিমা আরো উজ্জ্বল হইয়াছিল। এই সময়ে স্বামীর বদন-সংসর্গ-প্রাপ্তি দ্বারা উহার সৌন্দর্য্যের সাফল্য হইবেক ইহা সূচনা করিবার জন্য যেন অধরটী কিঞ্চিৎ কিঞ্চিৎ কম্পিত হইতে লাগিল এবং অনির্ব্বচনীয় এক শোভা ধারণ করিল॥ ১৮॥

 পার্ব্বতীর এক সহচরী তাঁহার দুই চরণ অলক্তক রসে রঞ্জিত করিয়া এই বলিয়া আশীর্ব্বাদ করিল “এই চরণে যেন তুমি স্বামীর মস্তকের চন্দ্র-কলা স্পর্শ কর;” তাহাতে তিনি কোন উত্তর না করিয়া মালা দ্বারা সখীকে প্রহার করিলেন॥ ১৯॥

 বেশ-ভূষা-কারিণী রমণীরা সম্যক্‌ বৃদ্ধি-প্রাপ্ত পদ্ম-পলাশের ন্যায় চমৎকার তাঁহার দুই চক্ষু অবলোকন করিয়া কেবল মঙ্গলাচরণ বলিয়া কৃষ্ণবর্ণ কজ্জ্বল গ্রহণ করিল, সেই কজ্জ্বলের দ্বারা পার্ব্বতীর চক্ষুর রমণীয়তা বৃদ্ধি হইবেক এ জ্ঞানে নহে॥ ২০॥

 যখন এক এক খানি করিয়া অলঙ্কার তাঁহাকে পরান হইতেছিল, তখন তাঁহার তেমনি শোভা উদয় হইল যেন লতার অবয়বে এক একটী পুষ্প প্রস্ফুটিত হইতেছে, যেন রাত্রির অঙ্গে এক একটী নক্ষত্র উদয় হইতেছে, যেন নদীর উপরিভাগে এক একটী পক্ষী উপবিষ্ট হইতেছে॥ ২১॥

 তখন নিশ্চল বিশাল চক্ষে দর্পণের মধ্যে আপনার পরম সুন্দর শোভা দর্শন করিয়া মহাদেবের সহিত মিলনের নিমিত্ত