পাতা:কুরুক্ষেত্রে শ্রীকৃষ্ণ - সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> Q R কুরুক্ষেত্রে শ্ৰীকৃষ্ণ [ डूडीब अक्ष কৃষ্ণ। ধনঞ্জয় ! চঞ্চল হওনা, এ কুরুক্ষেত্র ইন্দ্ৰপ্ৰস্থের সিংহাসন নিয়ে নয়। এ যুদ্ধের উদ্ভব রাজসূয় যজ্ঞে নয়, কপট দূতে নয়-এ যুদ্ধের ভেরী ধৰ্ম্মের দীর্ঘশ্বাসে বেজে উঠেছে। এ রণরঙ্গি পীড়িতের আৰ্ত্তিনাদে জেগে ব’সেছে। ধনঞ্জয় ! অধৰ্ম্মের কশাঘাতে একটা সতেজ দীপ্তি কঙ্কাল সার হয়ে প’ড়ে আছে। এ যুদ্ধ নয় ধনঞ্জয় ! জীর্ণ সংস্কার। এ যুদ্ধের পৰ্য্যাবসান কুরুকুল ধ্বংসে নয়-ধূতরাষ্ট্রের আৰ্ত্তিনাদে নয়। এ যুদ্ধের অবসানে নূতন জগত সৃষ্ট হবে, নূতন সূৰ্য্য আলোক দেবে। ধনঞ্জয়, এ স্বপ্নের মত একটা অলস জাতির তন্দ্রার সাহায্য করবে, শিক্ষাগুরুর মত একটা অধ্যবসায়ী জাতির উষর মস্তিষ্ক উর্বর করে দেবে, একটা উদীয় মান জাতিকে পৃথিবীর আধিপত্যে অভিষেক ক’রবে। ধনঞ্জয় ! এ একটা বিশ্বব্যাপী আন্দোলন, এ হত্যাকাণ্ড নয়, বিরাট ধৰ্ম্মাভিযান । বিপক্ষে যে দাড়াবে, শক্ৰ সে, ধৰ্ম্মদ্রোহী সে, ছলে বলে কৌশলে তাকে হত্যা ক’রতে হবে। ( সহসা আকাশ মার্গে বিকট বজধ্বনি হইল, সকলে অস্ত্ৰ বহিৰ্গত করতঃ সতর্ক হইলেন ) কৃষ্ণ । একি ! বুঝেছি, অস্ত্ৰ ত্যাগ কর, অস্ত্ৰ ত্যাগ কর, পাণ্ডাল পক্ষে যে যেখানে আছ অস্ত্ৰ ত্যাগ করা-রথ থেকে নেমে দাড়াও-বাহন ত্যাগ ক’রে-ভূপৃষ্ঠে অবতরণ কর। অশ্বখাম নারায়ণাস্ত্ৰ ত্যাগ ক’রেছে—অস্ত্ৰ ত্যাগ কর । ( বৃকোদার ব্যতীত সকলের অস্ত্ৰত্যাগ ও মৃত্তিকায় উপবেশন) ভীম । অশ্বথামার ভয়ে অস্ত্ৰত্যাগ ! কিছুতে না । কৃষ্ণ । বৃকোদার ! দেখছি কি ? অস্ত্ৰ ত্যাগ কর। পৃথিবী কঁপিছে, উদ্বেলিত সাগর তরঙ্গ আকাশে ঠেকেছে--গিরিশৃঙ্গ বিদীর্ণ ক’রে মুহুমুহু আগ্নেয় উদগার হচ্ছে। অস্ত্ৰ ত্যাগ কর-বজাঘাত হ’ল-বজ্ৰাঘাত হ’ল। ভীম। কিছুতে না। যোধগণ, অস্ত্ৰ ধব । ধনঞ্জয় ! গাণ্ডীব ধর । -গদাঘাতে আজ নারায়ণাস্ত্ৰ বিমন্দিত করব।