পাতা:কুরু পাণ্ডব - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
কুরু পাণ্ডব
৪৩

হওয়ায় জলজ স্থলজ পুষ্পগন্ধযুক্ত সমীরণে সভাস্থলী আমােদিত হইয়া উঠিল।

 এদিকে চতুর্দ্দশ মাস অবিশ্রান্ত কার্য্যে ব্যাপৃত থাকিয়া অবশেষে ময়দানব যুধিষ্ঠিরকে সভাসমাপ্তির সংবাদ প্রেরণ করিলে ধর্ম্মরাজ প্রীত হইয়া নানাদিগ্দেশাগত ব্রাহ্মণগণকে ঘৃত পায়স ফলমূল মৃগমাংসাদি ভোজন ও বস্ত্রমাল্যাদিদানে পরিতৃপ্ত করিয়া সভাপ্রবেশ করিলেন। তথায় গগনস্পর্শী পুণ্যাহধ্বনিতে উদ্বোধিত হইয়া গীতবাদ্য পুষ্পাদির দ্বারা দেবার্চ্চনা ও দেব-স্থাপনা করিলেন।

 একদা রাজা দুর্য্যোধন শকুনির সহিত ভ্রমণ করিতে করিতে ক্রমে ক্রমে যুধিষ্ঠিরের ময়দানবনির্ম্মিত সভার সৌন্দর্য্য সকল পর্য্যবেক্ষণ করিতে লাগিলেন। তিনি তাহাতে যে সকল অত্যাশ্চর্য্য নির্ম্মাণচ্ছন্দ দেখিতে পাইলেন, তাহা তৎপূর্ব্বে কখন দৃষ্টিগােচর করেন নাই।

 এক গৃহের স্ফটিকময় কুট্টিমে স্ফটিকদলশালিনী প্রফুল্লনলিনী দেখিয়া জলভ্রমে তথায় সন্তর্পণে পদবিক্ষেপ করিতে গিয়া সহসা ভূপতিত হইলেন। ইহাতে ভীম ও তাহার অনুচরবর্গ হাস্য করিলেন।

 আর এক সময়ে স্ফটিকময় ভিত্তিতে দ্বার ভ্রম করিয়া তথা হইতে বহির্গমনের চেষ্টা করায় মস্তকে কঠিন আঘাত প্রাপ্ত হইয়া বিঘূর্ণিত হইলে সহদেব দ্রুতগমনে আসিয়া তাঁহাকে ধারণ করিলেন।

 পরে কৃত্রিম সরোবরের স্বচ্ছজলকে স্ফটিক ভাবিয়া সবস্ত্রে