দ্রৌপদী কহিলেন―হে প্রাতিকামিন্! তুমি কি প্রলাপ বকিতেছ? কোন্ রাজপুত্র পত্নীকে পণ রাখিয়া ক্রীড়া করে! যুধিষ্ঠিরের কি আর সম্পওি ছিল না?
প্রাতিকামী কহিল—হে দ্রুপদনন্দিনি! মহারাজ যুধিষ্ঠির পূর্ব্বে অন্য সমস্ত ধন এবং পরে ভ্রাতৃগণসমেত আপনাকে হারাইয়া পরিশেষে তােমাকে দ্যূতমুখে সমর্পণ করিয়াছেন।
দ্রোপদী কহিলেন―হে সূতনন্দন! তুমি সভায় গমন করিয়া যুধিষ্ঠিরকে জিজ্ঞাসা কর যে, তিনি অগ্রে আমাকে কি আপনাকে পণ রাখিয়াছিলেন।
প্রাতিকামী কৃষ্ণার আদেশানুসারে সভাস্থ সকলের সমক্ষে অধােমুখােপবিষ্ট যুধিষ্ঠিরকে দ্রৌপদীর প্রশ্ন নিবেদন করিল, কিন্তু সেই বিচেতনপ্রায় পাণ্ডবের নিকট কোনো উত্তর পইল না।
দুর্য্যোধন কহিলেন―তে প্রাতিকামিন্! পাঞ্চালী এই স্থানে আসিয়া তাহার যাহা কিছু প্রশ্ন থাকে, নিজে করুক।
তখন প্রাতিকামী পুনরায় দ্রৌপদীর নিকট উপস্থিত হইয়া শােকাকুল বচনে বলিল―
হে রাজপুত্রি! পাপাত্মা দুর্য্যোধন মত্ত হইয়া তোমায় বারম্বার আহ্বান করিতেছেন।
দ্রৌপদী কহিলেন― হে সূতনন্দন! ইহা বিধাতারই বিধান। পৃথ্বীতলে ধর্ম্মই সর্ব্বশ্রেষ্ঠ, অতএব সভ্যগণকে জিজ্ঞাসা করিয়া আইস, ধর্ম্মত আমার এক্ষণে কি করা কর্ত্তব্য, তাঁহারা সকলে যাহা বলিবেন, আমি তাহাই করিব।