পাতা:কুরু পাণ্ডব - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৬২
কুরু পাণ্ডব
[৪

 হে ভুপতিগণ! যদি আমি যুদ্ধে গদাঘাতে ঐ উরু ভগ্ন না করি, তবে অন্তে আমার যেন পিতৃসমান গতি না হয়।

 এরূপ বাদ প্রতিবাদ হইতেছে, এমন সময় ঘোর দুর্নিমিত্তসকল দৃষ্ট হইতেছে এরূপ সংবাদ আসিল। মহারাজ ধৃতরাষ্ট্র অত্যন্ত ভীত হইয়া অমঙ্গল শান্ত করিবার নিমিত্ত পুত্রকৃত দুষ্কর্ম্ম খণ্ডনের চেষ্টা করিতে লাগিলেন। দুর্য্যোধনকে ভর্ৎসনা করিয়া তিনি কহিলেন―

 ওহে দুর্ব্বিনীত দুর্য্যোধন! তুমি কিরূপ বিবেচনায় কুরুকুল-কামিনীকে সভামধ্যে সম্ভাষণ করিতেছ?

 পরে তিনি সান্ত্বনাবাক্যে দ্রোপদীকে কহিলেন―

 হে কল্যাণি! তুমি আমার বধূগণের মধ্যে শ্রেষ্ঠ, তুমি অভিলষিত বর গ্রহণ কর।

 দ্রৌপদী কহিলেন—যদি প্রসন্ন হইয়া থাকেন, তবে আমার পতিগণকে দাসত্ব হইতে মুক্তি দিতে আজ্ঞা হউক।

 ধৃতরাষ্ট্র―তথাস্তু!―বলিয়া পাণ্ডবগণকে স্বাধীনতা প্রদান করিলেন।

 কর্ণ উপহাসপূর্ব্বক কহিতে লাগিলেন—

 স্ত্রীলোকের অনেক অদ্ভুত কর্ম্মের কথা শ্রবণ করিয়াছি, কিন্তু পতিগণকে তরণীস্বরূপ হইয়া বিপদ্‌সাগর হইতে উদ্ধার একমাত্র পাঞ্চালীই করিলেন।

 ভীম তাহাতে বলিলেন―

 হাঁ! পাণ্ডবগণ স্ত্রীর দ্বারাই রক্ষিত হইলেন!

 এই বলিয়া তিনি যুধিষ্ঠিরকে বলিতে লাগিলেন―