পাতা:কুরু পাণ্ডব - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৬৮
কুরু পাণ্ডব
[৪

 অর্জ্জুনের বাক্যাবসানে মাদ্রীতনয় কঠিন কটাক্ষপাতপূর্ব্বক বলিলেন―

 হে ধূর্ত্ত সৌবল? তুমি যে গুলিকে অক্ষ বিবেচনায় সেবা করিয়াছ সেগুলিকে রণস্থলে বাণাকারে মস্তকে বরণ করিতে হইবে।

 নকুলও কহিলেন—যে-সকল দুর্ব্বৃত্তগণ ক্রীড়াপ্রসঙ্গে দ্রৌপদীর লাঞ্ছনায় আনন্দ অনুভব করিয়াছে, তাহাদের সকলকে আমি যমালয়ে প্রেরণ করিব।

 অনন্তর যুধিষ্ঠির রাজসভায় উপস্থিত হইয়া কহিলেন—

 এক্ষণে আমি পিতামহ, কুরুবৃদ্ধগণ, দ্রোণপ্রভৃতি গুরুগণ, ধৃতরাষ্ট্র ও ধার্ত্তরাষ্ট্রগণ এবং বিদুরের নিকট বিদায় হইলাম। যদি বনবাসান্তে প্রত্যাগত হই, তবে আবার সাক্ষাৎ হইবে।

 সকলেই মৌন থাকিয়া মনে মনে পাণ্ডবগণকে বিবিধ প্রকার আশীর্ব্বাদ করিলেন।

 বিদুর কহিলেন―হে পাণ্ডবগণ! মােদের সর্ব্বত্র মঙ্গল হউক, তােমাদের মাতা সুকুমারী এবং সুখলালিতা, এক্ষণে বৃদ্ধাও হইয়াছেন। তাঁহার বনগমন কোনাে ক্রমেই উচিত হয় না; অতএব তিনি সৎকৃত হইয়া আমার ভবনে বাস করুন।

 পাণ্ডবগণ নিবেদন করিলেন―

 হে প্রাজ্ঞপ্রধীর! তুমি আমাদের পিতৃতুল্য এবং পরম গুরু, তোমার আজ্ঞা আমরা অবশ্য প্রতিপালন করিব। আর যাহা অভিলাষ থাকে বল।