পাতা:কুলবধূ - যতীন্দ্রনাথ পাল.pdf/১৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুল-বধূ। মহা ব্যস্তভাবে তাড়াতাড়ি জিজ্ঞাসা করিল, “কি হে ব্যাপার কি ? কে এলো ?’ ভয়ে গোবিন্দ চক্ৰবৰ্ত্তীৰ মুখ হইতে কথা বাহির হইতেছিল না,-সকলের পীড়াপিড়ীতে পড়িয়া একটা অতি ক্ষীণ স্বর বাহির হইল, “রায় মশায় ।” “রায় মহাশয়’ শুনিবা মাত্ৰ সকলেরই মুখ শুকাইয়া এইটুকু হইয়া গেল। তারিণীচরণের সমস্ত দেহটা তো ভয়ে ঠক্‌ ঠক্‌ করিয়া কঁাপিতে লাগিল । এতদিনে রায় মহাশয় তাহার অপ’মাণের প্রতিশোধ লইতে আসিয়ছেন,-সঙ্গে নিশ্চয়ই পাঁচ সাত শে} লাঠিয়াল আসিয়াছে । আজ আর ত{হার কিছুতেই রক্ষা । নাই । সে গোবিন্দ চক্ৰবৰ্ত্তীকে কি জিজ্ঞাসা করিবার চেষ্ট্র করিল,-কিন্তু কথা বাহির হইল না। তাহার পাকস্থলী হইতে কণ্ঠনালী পর্যন্ত শুকাইয়া কাটু হইয়। গিয়াছিল। সে কি করিবে: না করিবে ভাবিবারও সময় পাইল না । দ্বারের দিকে ফিরিতেই দেখিল দ্বারের সম্মুখেই গৌরীশঙ্কর রায়,-ভঁাহার গম্ভীর মুখখানা আজ যেন আরোও গম্ভীর ভাব ধারণ করিয়াছো-পশ্চাতে রসিক মোহন । মুখে যিনি যতই আস্ফালন করুন,-সেই পককেশ বুদ্ধের সম্মুখে মস্তক তুলিয়া দাড়াইতে পারে, এমন সাহস,-এরূপ স্পৰ্দ্ধা। রামজীবনপুরের কাহার ও ছিল না। সেই রায় মহাশয় সম্মুখে। ভয়ে তটস্থ হইয়। সকলকেই একেবারে উঠিয়া দাড়াইতে হইল। কাহারও মুখে কথা নাই-সমস্ত বৈটিকখানা-নীরব নিস্তব্ধ! বাগ Sc