পাতা:কুলবধূ - যতীন্দ্রনাথ পাল.pdf/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুল-বধূ। ■* হইয়া যাইতেছিল। অখিলচন্দ্রের বিশেষ সাবধানতা সত্ত্বেও টানটা কিছুতেই ঠিক সময় মত ঘটিয়া উঠিতেছিল না, কিন্তু আয়োজনের কোনই অভাব নাই, কুড়া অনবরত পড়িতেছে, টানেরও বিরাম নাই । সহসা পুকুরের পাড়ের উপর হইতে অতি মধুর হাসির খিল খিল শব্দ অখিলচন্দ্রের কর্ণের ভিতর প্রবেশ করিল। তিনি চমকিত ইহঁয়! তাড়াতাড়ি ফিরিলেন । দেখিলেন, একটা বালিকা পুকুরের পাড়ের উপর একটা নারিকেল ব্লক্ষের গুড়িতে ঠেস দিয়া দাড়াইয়। মুখে অঞ্চল গুজিয়া এক অপরূপ ভঙ্গিমায় খিল খিল করিয়া, হাসিতেছে । বালিকার রংটা কঁাচা সোণার মত না হইলেও গৌরবর্ণ বটে। তাহার মাথার এলো মেলো কাল চুলের রাশি কুঞ্চিত হইয়া মুখে চক্ষে পৃষ্ঠে গড়াইয়া জানু পৰ্য্যন্ত নামিয়া গিয়াছে।। কৈশোর-যৌবন মেশামিশি হইয়া যমুনা-জাহ্নবীর ন্যায় তাহার সমস্ত দেহটা বেষ্টন করিয়া যেন আকুল উচ্ছাসে তোলপাড় করিতেছে। সব চেয়ে সৌন্দৰ্য্য তাহার অপরূপ বড় বড় চক্ষু দুইটির। তাহ যেন বিশ্বকৰ্ম্মার বহু যতনের, বহু সাধনার ফল। অখিলচন্দ্ৰ ফিরিবামাত্ৰ বালিকার চক্ষু দুইটি র্তাহার চাখের সহিত মিলিত হইল, বালিকা হাসিয়া একেবারে আকুল হইয়া উঠিল। নিৰ্জন দীঘির পাড়ে, স্তব্ধ মধ্যাহ্নে এই অপরূপ বালিকার, এই অপরূপ হাসি অখিলচন্দ্ৰকে যেন হতভম্ব করিয়া দিল । তঁহার মনে হইল, এই এত বড় আকাশের মাঝখানে, এই বিস্তৃত বিশ্বে কেবল এই সুন্দর কোমল মুখখানি একটী মাত্ৰ দেখি Q