পাতা:কুলবধূ - যতীন্দ্রনাথ পাল.pdf/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুল-বধূ । পশ্চাৎ পশ্চাৎ কক্ষের ভিতর প্রবেশ করিয়াছিল, সে একটা প্ৰকাণ্ড রোহিত মৎস্য রায় মহাশয়ের সম্মুখে আনিয়া মেজের উপর ফেলিল। এত বড় একটা প্ৰকাণ্ড সাত আট সের রোহিত মৎস্য সম্মুখে দেখিয়া বুদ্ধ রায় মহাশয় একেবারে অবাক হইয়া গেলেন । এত বড় মৎস্যটাকে তঁহার পৌত্র বড়শিতে শীকার করিয়াছে, ইহাতে যেন ঘৃতাহার প্রাণের ভিতর হইতে একটা আনন্দের তারাবাজা সড় সড় করিয়া বাহির হইয়া মুখে চোখে ফুটিয়া পড়িল । তিনি তঁহার জীবনের সম্বল, রায়-বংশের উজ্জ্বল প্ৰদীপ পৌত্রের দিকে ফিরিয! সুন্দু হাসিয়া বলিলেন, “ভায়া, আজি যে শীকারটা বড় জবর হয়েছে দেখছি। ” কিন্তু পৌত্র সে বিষয়ে কোনরূপ উচ্চবাচ্য করিলেন না, কেবল মাত্র একটা প্ৰকাণ্ড বুকভাঙ্গা নিশ্বাস লইয়া উঠিয়া বসিলেন । একবার মাত্র ঠাকুরদাদাপ্ন দিকে একটু স্নান দৃষ্টিতে চাহিয়া আবার মস্তক অবনতি করিলেন। বুদ্ধের পরিপক্ক দৃষ্টি নাতির ভাবান্তর লক্ষ্য করিল । এত বড় মৎসা শীকার করিয়া। আজ তাহার পৌত্রের একি ভাব ! মৎস্য ধারবার সে উৎসাহ, সে আনন্দ, সে অস্থিরতা কোথায তিরোহিত হইল ! পৌত্রের জন্য বৃদ্ধের প্রাণ ব্যাকুল হইয়। পড়িল ৷ নিশ্চয়ই নাতির শরীর অসুস্থ । গৌরীশঙ্কর রায়ের মুখের হাসি মুহূৰ্ত্তে বিলীন হইল। রায় মহাশয় ব্যস্ত হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “ভায়ার কি শরীরটা আজ একটু অসুস্থ ?” যেন উত্তর না দিলে নয়, অখিলচন্দ্ৰ সেই ভাবে বলিলেন, יין וף 3:3*