পাতা:কুলবধূ - যতীন্দ্রনাথ পাল.pdf/৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

v A TWV F Val-a' L. PYTX/Y Mae'Yxaw Ar yr জমিতেছিল,-খেলো হইয়া যাইবার ভয়ে সে প্ৰাণপণ শক্তিতে তাহা এতক্ষণ ধরিয়া রাখিয়াছিল। কিন্তু মায়ের কোমলস্বরে অভিমান আসিয়া তাহার সে বঁাধ ভাঙ্গিয়া দিল। তাহার মুখ হইতে উত্তর বাহির হইল না-অশ্রু তাহার কণ্ঠ চাপিয়া ধরিল । সে সেইখানে দাড়াইয়। কেবল ফোস ফোস করিয়া কঁাদিতে লাগিল । কমলরাণীর কোমল প্ৰাণ কন্যার চক্ষের জল সহা করিতে পারিল না । তাহার জীবনের সাধ আহলাদ সকলই ফুরাইয়া গিয়াছে। কেবল পৃথিবীর শেষ সম্বল এই একটী বন্ধন-স্নেহের প্ৰদীপ বিকৃমিক্‌ করিতেছে। তঁহার সদাই ভয়, দমকা বাতাসে কখন প্ৰদীপ নিবিয়া যায়। তাই তিনি সতত তাহার স্নেহের অঞ্চলে তাহাকে অতি সাবধানে ঢাকিয়া রাখিতেন । তিনি কি পুষ্পের অশ্রুজল সহ্য করিতে পারেন ? কমলরাণী ধীরে ধীরে উঠিয়া সন্সেহে পুষ্পের হস্ত ধরিয়া গুহের ভিতর আনিলেন। অঞ্চল দিয়া চক্ষের জল মুছাইয়া দিয়া স্নেহপূর্ণ স্বরে বলিলেন,-“ছি মা, কঁদতে আছে! ওরা তোমায় অন্যায় কিছু বলেনি তো। এত রাত্তির অবধি কি বাহিরে থাকা ভাল ? রাস্ত ঘাটে যার তার সঙ্গে কথা কইলে যে লোকে নিন্দে করবে।” পুষ্প অঞ্চল দিয়া চক্ষু রাগড়াইতে রাগড়াইতে ফোপাইতে ফোপাইতে বলিল, “কই আমি তো যার তার সঙ্গে কথা কইনি মা, আমি সে দিন যাকে মাছ ধরে দিয়েছিলুম, তার সঙ্গে ত কথা কইছিলুম।” কন্যার কথায় কমলরাণী মৃদু হাসিলেন ; কহিলেন, “তাঁর و6V