পাতা:কুলবধূ - যতীন্দ্রনাথ পাল.pdf/৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টম পরিচ্ছেদ । wars ঘটনাটা যেরূপ দাড়াইয়াছে, তাহাতে তারিণীচরণের আর এক মুহূৰ্ত্তও স্থির থাকা অসম্ভব হইল। স্ত্রীলোকের মনের উপর একেবারেই বিশ্বাস করা যাইতে পারে না। পাত্র ও বংশ সম্বন্ধে কমলরাণী যাহা খুজিতেছেন, তাহ সম্পূর্ণ মিলিয়া গিয়াছে . এ অবস্থায় তাহার মন নরম হইতে কতক্ষণ । তাহার উপর কন্যা যদি আব্দার ধরিয়া বসে, তাহা হইলে তো আপত্তি একেবারেই টিকিবে না, তাহা তারিণীচরণ বিলক্ষণ জানিত। ঘটনাটা আর অধিক নাড়াচাড়া খাইবার পূর্বেই যেমন করিয়া হউক একটা জোড়া-গাঁথা করিয়া দিতেই হইবে । তারিণীচরণ সেই রাত্ৰিই গোবিন্দ চক্ৰবৰ্ত্তীকে ডাকিয়া পাঠাইলেন,-কিন্তু লোক অল্পীক্ষণ পরেই ফিরিয়া আসিয়া সংবাদ দিল যে “গোবিন্দ চক্ৰবৰ্ত্তী বাটী ' রাত্রে নানা চিন্তায় তারিণীচরণের নিদ্রা হইল না। রতন বোসের বৈঠকখানার সম্মুখে একটা ক্ষুদ্র পুষ্পোদ্যান ছিল। রতন বোস যখন জীবিত ছিলেন, তখন এই উদ্যানটার যে বাহার ছিল, এখন আর তাহা নাই। যত্নের অভাবে অনেক বৃক্ষই শুষ্ক হইয়া গিয়াছে’-ফেয়ারা আর জলোদগীরণ করে না ; স্থানে স্থানে &bዖ