পাতা:কুলবধূ - যতীন্দ্রনাথ পাল.pdf/৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবম পরিচ্ছেদ । -NO DI D পূৰ্ণিমার চাদ আকাশে আজ চন্দ্ৰমণ্ডল করিয়া খণ্ড-মেঘের মাঝখানে বসিয়া ধরার গায়ে রজত বসন পরাইয়। দিতেছিল। সুনীল আকাশে মেঘের চিহ্ন মাত্ৰ নাই। রূপসী জ্যোছনা আজ যেন বিশ্ব বিপণীতে এক অপরূপ হাসির হাট বসাইয়াছে। আজ আকাশে হাসি ধরে না-বাতাসে হাসি ধরে নৗ-হাসিয়া হাসিয়া সমস্ত জগৎ যেন ২াসির চরণে লুটাইয়া পড়িতেছে । রায়দের চকমিলান অট্টালিকার বারান্দায় উপবিষ্ট তিনটা মানুষের মুখে কেবল হাসি নাই। অতি গম্ভীর ভাবে বসিয়। রায় মহাশয় সর্টকার নলটা ধীরে ধীরে টানিতেছিলেন । আজ তাহার প্রাণের ভিতর চিন্তার সমুদ্র তাল পাকাইয়া পৰ্বতের ন্যায় উচু হইয়া কেবলি আছাড় খাইয়া সমস্ত প্ৰাণটা আনচান করিয়া তুলিতেছিল। এতদিনে বুঝি ধা। ফসকাইয়া যায়। ভরপুর আসরে বেমানজাই তোহাই তুলিয়া কত শতবার অনায়াসে সোমে আসিয়া পড়িয়াছেন। জটিল ফৌজদারী মামলা উকিল কৌনসীলের অপেক্ষা শীঘ্ৰ মীমাংসা করিয়া দিয়াছেন, শেষ কি না ভাঙ্গা আসরে টপ্পা গায়কের নিকট সোম ফাঁসকাইয়া যাইবোঁ,-তারিণীচরণের নিকট অপদস্থ হইতে হইবে। তিনি কিছুতেই স্থির করিতে পারিতেছিলেন না, ዓመ