পাতা:কুলবধূ - যতীন্দ্রনাথ পাল.pdf/৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

mano)ou রাগ যখন চরমসীমায় যাইয়া উপস্থিত হয়, তখন তাহা । ভগবানের ন্যায়, “অবক্তম’ হইয়া দাড়ায়। তখন ভাষা এমনই সন্ধুচিত হইয়া উঠে যে, তাঙ্গাকে আর কিছুতেই টানিয়া বাহিরে আনা যায় না । কাহারও বা চক্ষু ফাটিয়া খানিকটা জল বাহির হইয়া পড়ে, কাহারও বা দহটা ভিতরে হইয়া চোক মুখ ট্রাল হইয়া যায়। খুড়ীর কাণ্ডে কমলরাণীরও তাঁহাই হইল। একটা দুৰ্জয় ঘুণায় তাহার রাগের সীমা গণ্ডার বাহিরে বাইয়া পড়ায় তিনি একবারে স্তব্ধ হইয়া গেলেন। কেবল দুই ফোটা অশ্রু গণ্ড বাহিয়া করিয়া ভিতরের দাঙ্গটা তবু অনেকটা লঘু করিয়া দিল। ভাল কি মন্দ তিনি কাহাকেও কোন কথা বললেন না । কিন্তু তাহার ফল দাড়াইল বিপরীত। ভগ্নীর মনের মতন হইয়াছে ভাবিয়া তারিণীচরণ পুষ্পের বিবাহ পাকা করিয়া ফেলিবার জন্য ব্যস্ত হইয়া পড়িল,--আর একটা মস্ত কাজ করিয়াছেন, যাহা বোস বংশের কেহ বাখনও ইতিপূর্বে সাহস করিয়া করিতে পারে নাই, ভাবিয়া খুড়ী একেবারে দুৰ্ব্বার হইয়া উঠিলেন। সেই ঘটনাটার পর তিন চারি দিন অতিবাহিত হইয়া গিয়াছে কিন্তু কমলরাণী এখনও তাহা তুলিতে পারেন নাই। মধ্যাহ্নের ዓ ዓ