পাতা:কুসুমকুমারী নাটক.pdf/১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুসুমকুমারী নাটক। ు কুমারদ্বয়কে অমাব হস্তে সমর্পণ করে সাপ্রনয়নে এই কথা বলে ছিলেন যে " মস্ত্রীবব। আমি এখন বিদায় হোলেম, তুমি আমার এই কুমারদ্বয়কে ও কুমারীটাকে সৰ্ব্বদা রক্ষণাবেক্ষণ কোরে ” এই কথা বোলেই রাজমহিষী প্রাণত্যাগ করেন, আমিও সেই দিবস বধি ঐ বালক বালিকাদিগের প্রতি আপন সন্তান অপেক্ষ অধিক স্নেহ করিয়া আসিতেছি, আর তারাও স্নেহের সামগ্রীই বটে, তাদের চাদমুখ দেখলে হৃদয় মুশীতল ও পৰিতৃপ্ত হয়। হায় হায়! এমন অমুল্য নিধিদ্বয়কে কোন পাষাণ হৃদয় রাজপুব হোতে অপহরণ করলে ? শম্ভ মহাশয় । আপনি যা আজ্ঞা কর চেন, সে সমস্ত সত্য, প্রাচীন বয়সে বিবাহ করাই অতি কদৰ্য্য কার্য । কিন্তু ভবের কি আশ্চর্য্য ভাব । দিন দিন লোকের যত অধিক বয়স হয়, ততই তার বিবাহ মুখাস্বাদনের প্রবৃত্তি বৃদ্ধি পায়। এটা কিছুমাত্র বিবেচন। করে না, যে আর কত কালই বা জীবিত থাকবে । বয়সে ইন্দ্রিয় অবশ হোয়ে এলেও মানবজাতি নবমুখের অনুসরণ কোরে থাকে। দন্তহীন বৃদ্ধ কুকুরেরা যেমন অস্থিখণ্ড দেখলে ত্যাগ করতে পারে না, চৰ্ব্বণ করিতেও অক্ষম হয়, এতুতঃ জিহ্বা দ্বারা লেহন করে, বৃদ্ধ ব্যক্তি দিগের তরুণী ভাৰ্য্যা হোলেও সেইরূপ ঘটে। শিশুকালে যার মাতৃহীন হয়, তারা যে বিষম অনিষ্ট ভোগ করবে, এবিষয়ে কিছুমাত্র সন্দেহ নাই। বোধ হয় এই কারণেই আপনি মাতৃহীন রাজশিশুদের { প্রতি এত অনুরাগ প্রকাশ কোরে থাকেন। * * গণে। ভাই ! তা কি তুমি আজ জানলে । মাতৃবিয়োগী বালক বালিকাদিগের যে কষ্ট হয়, আবাল বুদ্ধ সকলেই ইহা চিরকাল দেখচেন। নবীন তরু যেমন সতেজে উঠিবার সময় কোন গুরুতর আঘাত পেলেই একেবারে বক্র ও নিস্তেজ হয়ে যায়, সেইরূপ শৈশবকালে সন্তানগণ যদি মাতৃ-বিয়োগ স্বরূপ গুরুতর আঘাত প্রাপ্ত হয় তা হোলে তাদের ভাগ্য বশতঃ কোন উচ্চ অবস্থা প্রাপ্ত হউক বা না হউক, তৃথাচ তাহারা নিজ মনে কখন সুখী হোতে পারে না । সে যা হউক, এ বিষয়ে আমা