পাতা:কুসুমকুমারী নাটক.pdf/২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুসুমকুমারী মটিক । ১৩ ( প্রহরীর প্রবেশ । ) প্রহ। ধৰ্ম্ম-অবতার ! বজু। দেখ, বিদ্যাবিনোদকে ডেকে আন । (প্রহরীর প্রস্থান, ও রাজা উপবেশন করিয়া মন্ত্রির প্রতি ) বসে । গণে । (উপবেশন করিয়া মৃদুস্বরে ) হয় । আজ দেখছি সৰ্ব্বনাশ হলো । s বজু। (চিন্তা করিয়া ) তুমি যে নিস্তব্ধ হলে ? আমার কথা বুঝি তোমাকে ভাল লাগলে না । গণে। নরনাথ ! আমি আর এবিষয়ে কি বোলুবে । যা কিছু বলার ছিল, সব নিবেদন করেছি । এখন মহারাজের যেরূপ অভিরুচি হয়, তাই করুন। বিধাতার নির্বন্ধ কে খণ্ডন করতে পারে ? বঞ্জ। দেখ, বিদ্যাবিনোদ ত আসছে, অতএব তোমার অনুরোধে তার প্রাণদণ্ড করবে না, কিন্তু তাকে আমার রাজ্য থেকে নিৰ্ব্বাসিত হতে হবে। গণে । মহারাজের যেরূপ অভিপ্রায় হয়, তাই করবেন। সে অধীন, বাঁচালেও বাচাতে পারেন, মীর লেও মারতে পারেন । ( প্রহরী ও বিদ্যাবিমোদের প্রবেশ । ) বিদ্যা। (প্রণাম করত) রাজন ! কি জন্যে এ অধীনকে স্মরণ করেছেন। (মন্ত্রির প্রতি) মহাশয়। রাজার যে আজ এরূপ মুৰ্ত্তি দেধূচি ? আমাকে তো নিয়তই পুত্রবৎ স্নেহ করেন, তা আজ এরূপ ভাব কেন ? শ্ৰীচরণে কি আমার কোন অপরাধ হোয়েছে ? বজু। রে পাপিষ্ঠ। নরাধম! দাসপুত্র । তুই নাকি আমার কন্যাকে বিবাহ করেছিস্ ! তোর চরিত্র যে বিষধর অপেক্ষাও কুটিল দেখচি। বাল্যকালাবধি তোকে যে প্রতিপালন করলেম, তার কি এই ফল ? বিদ্যা ! হে নরেশ ! আমি আপনাকে পিতৃতুল্য ভক্তি করি, অত