পাতা:কুসুমকুমারী নাটক.pdf/৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুসুমকুমারী নাটক । * আসতেন। আমার পোড়া ভাগ্যে বিপদের তো অভাব নেই। (দীর্ঘনিশ্বাস ত্যাগ করিয়া পুনঃ উপবেশন । ) ( উৰ্ব্বশীর প্রবেশ । ) এই বুঝি এলেন । ( প্রকাশ্যে ) কে ও ? উৰ্ব্ব । রাজনন্দিনি ; আমি উৰ্ব্বশী । কুমু। ই রে উৰ্ব্বশি! তুইও কি কালসহকারে আমার প্রতি বাম হলি ? তোর কি এই দুঃখের সময় আমার সঙ্গে ছলনা করা উচিত ? কৈ, আমার প্রাণনাথ কৈ ? আমি যে নিতান্ত অধীর হয়েছি। উৰ্ব্ব । রাজনন্দিনি ! কিঞ্চিং সুস্থ হোন। আপনার প্রাণনাথ এখনই আস্বেন। এখানে আর কেউ আছে কি না, আমি দেখতে এসেছি । এ বিষম কাণ্ড যদি অন্য কেউ দেখে, তা হলে কি আমার রক্ষা থাকবে ? কুসু। না, এখানে আর কেউ নাই। উৰ্ব্বশি ; তুই শীঘ্ৰ যা, আমার মনোগতির মত সত্বরে গিয়ে প্রাণনাথকে এনে দে । উৰ্ব্ব। রাজনন্দিনি : র্তাকে স্বরায় প্রেরণ করচি, শীঘ্ৰ কথোপকথন সেরে নেবেন } [ প্রস্থান । কুস্থ । (স্বগত) বোধ হচ্চে, স্বামির সমাগম সুখ অতি ত্বরায় লাভ করবে, কিন্তু সে সুখ আমার ভাগ্যে অদ্য সুখদায়ক হলে না। যা হোক, ক্ষণেক প্রাণকে পরিতৃপ্ত করে নিই, পরে ভাগ্যে যা আছে, তাই ঘটবে ( বিদ্যাবিনোদের প্রবেশ । ) ( অগ্রসর হইয়া সজলচক্ষে ) প্রাণনাথ ! অভাগিনীকে কি এতক্ষণে মনে পড়লে, আমার চিত্ত-চকোর তোমার মুখচন্দ্রের সুধার আশায় অতি ব্যাকুলিত হচ্ছিল । 3. বিদ্যা । সে কি প্রিয়ে! তুমি কি শোন নাই, যে আমার দুর্ভাগ্য