পাতা:কুসুমকুমারী নাটক.pdf/৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুসুমকুমারী নাটক । باتي বজু। যদি এ যথার্থ কুসুম হয়, তা হলে ঈশ্বর-ইচ্ছায় আমি যে কি পৰ্য্যন্ত সন্তুষ্ট হবে, তা বলতে পারিন । সত্য। মহারাজ ! আমি যথার্থ বলছি, ইনি আপনার দুহিতা কুসুম । এই নিষ্ঠুর বিদ্যাবিনোদের অস্থরোধে আবদ্ধ হয়ে আমি এর প্রাণনাশ কারণ সিন্ধুতীরে নিয়ে গেছলুম, পরন্তু আমার মনে অত্যন্ত স্নেহের উদয় হওয়াতে একে আমি সকল কথা বলেছিলাম । পরিশেষে রাজভবনে ফিরে আস্তে অনুরোধ করেছিলাম, কিন্তু সে বাক্য রাজনন্দিনী ন শুনাতে আমি তাকে এই পরিচ্ছদ প্রদান কোরে পুরুষবেশে বন পর্য্যটন কত্তে বলেছিলাম। মহারাজ ! আমাকে যেরূপ দাস বলে জ্ঞান কচ্ছেন, সেই রূপ এই কুসুমকে আপনার দুহিতা জ্ঞান করুন। সে যা হউক, এখন রাজনন্দিনীর চৈতন্য হলে হয় । ( কুসুমের গাত্র ঠেলিয় ) মা ! ওঠ । কুস্থ । (সত্যসুতের প্রতি ) হায় ! তুই আমাকে স্পর্শ করিম নি, তুই ত বিষ দিয়ে আমার প্রাণনাশের চেষ্টা পেয়েছিলি । তুই ভয়ানক ছুরাত্ম, রাজসন্নিধানে থাকবার উপযুক্ত পাত্র নেস । বজু। তাই ত, এ যে সেই কুসুমের মত কথা কচ্ছে। আমি এতক্ষণ কিছু মাত্র বুঝতে পারি নি । প্ৰসত্য। রাজননিনি । যদি আমি আপনাকে বিষ দিয়ে থাকি, তা হলে পরমেশ্বর এই দণ্ডেই আমার মস্তকে বজাঘাত করুন। আমি তাহ হিতকর ঔষধ জ্ঞান করে দিয়েছিলাম। রাজ্ঞী আমাকে তাহ প্রদান করেছিলেন । বজ। কি সৰ্ব্বনাশ ! এ আবার কি কথা ! কুস্থ। কিন্তু তা পান করে আমার ত প্রাণ যাবার উদ্যোগ হয়েছিল ? ধন্থ । ( রাজার প্রতি ) মহারাজ ! এই কথা শুনে রাজ্ঞীর মৃত্যু কালের আর একটা কথা আমার স্মরণ হলো । সত্যসুত যদি কুসুমকে রঞ্জীর প্রদত্ত ঔষধপাত্র দিয়ে থাকে, তা হলে সভ্যসুতের কিছুমাত্র