পাতা:কুসুম-মালিকা.pdf/৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( २ } স্ত্রীজাতি যে বহুদিন হইতে পুৰুষজাতির অধীনতাশৃঙ্খলে বদ্ধ আছেন, শারীরিক দৌৰ্ব্বলাই তাহার প্রধান কারণ। স্বর্থপর পুৰুষ জাতি সেই শারীরিক দৌৰ্ব্বল্যের সুবিধা লইয়া স্ত্রীজাতিকে চির-দাসত্বশৃঙ্খলে বদ্ধ করিয়া রাখিয়াছেন। স্ত্রীজাতির যে সকল বৃত্তি পরিচালিত হইলে পুৰুষগণের ঐঞ্জিক মুখসীমা পরিবর্দ্ধিত হইতে পারে, তঁহাদিগকে সেই সকল রক্তিরই পরিচালনের ক্ষমতা দেওয়া হইয়াছে। প্রণয়িণী মনোহরিণী হইলে প্রণয়ীর মন প্রফুল্ল থাকে এই জন্য রমণীদিগকে বেশভূষ-ম্প ছা চরিতার্থ করিতে দেওয়া হইয়াছে। চিত্র, সঙ্গীত, নৃত্য প্রভৃতি চিত্তহারিণী বিদ্যা সকলে স্ত্রীজাতির স্বাধীন বিস্তার প্রদত্ত হইয় থাকে। সন্তান প্রতিপালন ও অন্ন ব্যঞ্জন প্রস্তুত করণাদি সাংসারিক কর্ঘ্য সকলেও তঁহাদিগকে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা প্রদান করা হইয়াছে। কিন্তু যাহতে উচ্চ মনোবৃত্তি সকল পরিমার্জিত হইতে পারে এরূপ স্বাধীনতা তাহাদিগকে দেওয়া হয় নাই। এই নিমিত্ত বৰ্ত্তমান অবস্থায় স্ত্রীজাতির মনোবৃত্তি সকল পুৰুষানুক্রমে পরিচালনাভাবে নিস্তুেজ ও মিশ্রভ ছষ্টয়া গিয়াছে। কিন্তু যেমন কঠোর মনোবৃত্তি সকল পরিচালনাভাবে নিম্প্রভ হইয়া গিয়াছে, সেই রূপ কোমল মনোবৃত্তি