পাতা:কুৎসিত হংসশাবক ও খর্ব্বকায়ার বিবরণ.pdf/২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ১৬ ) ক্রমে বেলারসান হইলে পূৰ্ব্বোক্ত হঙ্গমার শেষ হইল, কিন্তু হতভাগা হংসশাবক তখন পর্য্যন্তও সাহস করিয়া মস্তকোত্তোলন করিল না। পরে সমুদয় সুস্থির হইয়াছে, কিছুমাত্র কলরব নাই, ইহা দেখিয়। সে অনেক ক্ষণের পর আপনার চতুর্দিক নিরীক্ষণ করিতে করিতে শীঘ্রই ঐ বাদার মধ্য হইতে বহির্ণত হইল। বড় বড় বাগান এবং ময়দান সকল ক্ষতগমনে পার হইয়া যাইতেছে, এমত সময়ে একট। ভারি ঝড় উঠিল, দুৰ্ব্বল হংসপুত্র তাহার জন্য আর অগ্রসর হইতে পারিল না। יא বেলাও নাই যে ঝড়ের শাস্তি হইলে সে অন্যত্র যাইবে, কি করে দুর্ভগ। শাবক আস্তে আস্তে একটা ক্ষুদ্র কুড়িয় ঘরের নিকটে গিয়া পেছিল, সে ঘরখানিরও ভগ্নদশা, কেবল খাড়। মাত্র হইয়। অাছে, অার একটক জোরে ঝড় হইলেই তাহ। একেবারে ভূমিসাৎ ৷ হইবে । হুৰ্ব্বল হংসশাবক কি করিবে ভাবিয় তাহার কিছুই স্থির করিতে পারিল না । কিয়ৎকাল উহার স্বারের নিকট বসিয়া বসিয়া দেখিল, ঐ ভগ্ন গৃহের দ্বারের একটা হাসকল খুলিয়া গিয়াছে, কপাট যোড়াটা ভালরূপে পড়ে নাই, এজন্য ভষ্মধ্যে একটা ছাদ দেখা যাইতেছে, তাৰিয়া চিন্তিয়া সে ঐ ছাদার মধ্যে প্রবেশ করত কুড়িয় ঘরের . ভিত্তরে পিছলিয়া পড়িল । সেই গৃহ এক ছুঃখিনী স্ত্রীলোকের বাসস্থান, সে তথায় একটি বিড়াল এবং এক কুকুট পুষিয়াছিল, ৰিড়ালের নাম কালা, এবং কুকুটীর নাম ভূতি, কাল ওভূতি উভয়ের অতি প্রণয় ছিল,তাই ভগিনীর