পাতা:কুৎসিত হংসশাবক ও খর্ব্বকায়ার বিবরণ.pdf/৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( २¢ ) ড়ার ভাবৎ দুগ্ধটা ঘরের ভিতরে পিছলিয়া পড়ির গেল। কৃষকের স্ত্রী তাহ দেখিয়া করতালি দ্বার। ঐ হংসের ছানাকে তাড়াইয়। দেওয়াতে, মে ভয় পাইয়। প্রথমে একটা মাখনের হাড়িতে পড়িল, পরে শশব্যস্তে তাহা হইতে উঠিয়া পুনৰ্ব্বার ষে গামলাতে ময়দা ভিজান ছিল, সেই ময়দার গামলায় পড়িয়া হাবুডুবু খাইল । কি আশ্চৰ্য্য ! কৃষকের ৰালক বণিত; সকলেই তাহ! দর্শন করিয়। অভ্যন্ত আহল্লাদিত হইল, কেহ চিমটা ছুড়িয়া মারে, কেহ তাহাকে যত্ব করিয়া ধরিতে ষায় । সকলেই ভাড়া করিয়া এইরূপ ধরিতে উদ্যত হইলে, কে কাহার ঘাড়ে পড়ে তাহ নিশ্চয় করা অসাধ্য হইল। ঐ গৃহস্থের আহলাদের আর পরিসীম। রহিল, না, ভাহাদের হাঁস্য কলরবের কথা কি বলিৰ! বালকদিগের হাস্য এবং চীৎকার ধ্বদিতে কৃষকের ৰাটীতে অতিশয় গোলমাল উপস্থিত হইল। কিন্তু ভাগ্যক্রমে সেই চাসার ঘরের দ্বার অবরুদ্ধ ছিল না, এজন্য সে আস্তে আস্তে তদার বহির্গত হইয়। এক বোঝা কাঠের আঁটির উপরে পড়িয়া অতিশয় শ্রান্তিযুক্ত হইল । আহা ! বর্ষার প্রাদুর্ভাব হেতু দুৰ্ব্বল হংস শাৰক য়ে কি পৰ্য্যন্ত দুঃখভোগ করিয়াছিল, তাহ বর্ণনা করা যায় না, কখন গাছতলায় কখন ঝোপের আ. এড়ালে, কখন বা বেতবনে পড়িয়া সে কালষাপন করে, বন বাদা সৰ্ব্বত্র ভ্রমণ করে, কোন স্থানেই কিছু মুখ পায় না, ঝড় ৰুষ্টিতে প্রতিদিন ক্লেশ পাইয়া । তাহার শরীরটা একেবারে জীর্ণ এবং শীর্ণ হইয়া প~