পাতা:কুৎসিত হংসশাবক ও খর্ব্বকায়ার বিবরণ.pdf/৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( 88 ) কল এথার ওধার করিয়া ঐ গর্তের উপরিভাগে একটা ছিদ্র প্রস্তুত করিল, তাহাদিয়া স্থর্ম্যের আলোক তন্মধ্যে প্রবেশ করিতে পারিত । খৰ্ব্বকীয়া দেখিল সেটি চাতক পক্ষী, চাভক অাপন পথ, ছুটি দুই পাশ্বে চাপিয়। প ও মস্তকটিকে পালকের ভিতর রাখিয়া অচেতন ভাবে পড়িয়াছিল। ভদর্শনে তাহার সম্পূর্ণ বোধ হইল যে শীতেই পক্ষীর মৃত্যু হইয়াছে । আহ ! খুৰ্ব্বকায়া মৃত্ত চাতককে দেখিয়। কত রোদন করিতে লাগিল । কেননা পুৰ্ব্বে এরূপ ক্ষুদ্র ২ পক্ষীগুলী সমস্ত গ্রীষ্ম ঋতু তাহার নিকটে থাকিয় কিচিমিচি শব্দ পূৰ্ব্বক মধুর স্বরে গান করিয়ছিল । ইহাতে সে তাঁহাদিগকে অভ্যন্ত ভাল বাসিত । কিন্তু ছুচ ইয়াতে কিছুমাত্র দুঃখ করিল না, বরং আপন পা দ্বারা পক্ষীর মৃত দেহকে ঠেল। মারিয়। বলিতে লাগিল, “ হায় ক্ষুদ্র পক্ষী হওয়৷ কি দুঃখ ! এ আর কখনই গীত গাইতে পরিবে না, পরমেশ্বরকে প্রর্থনা করি, যেন আমার সন্তানদের মধ্যে-কাহীরও এমন দুরবস্থা না হয়। কিচিমিচ ব্যতীত যে পক্ষীর কিছুই করিতে পারে না, শীতকালে অবশ্যই তাহার। অনাহারে মরিবে ’। তাহ শুনিয়া ক্ষেত্রমূষিক ছুঢ়াকে সম্বোধন করিয়া বলিল, আপনি বড় জ্ঞানীর কথা কহিতেছেন, পক্ষীর কিচমিচ শব্দ করিয়! কি পায় ? কেবল শীত কালের আগমনে নীহাররত হইয় তাহাদিগকে মরিতে হয়। আমার বেধে তাহীদের পক্ষে ইহাই ভদ্র ।