পাতা:কুৎসিত হংসশাবক ও খর্ব্বকায়ার বিবরণ.pdf/৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ફિર ) খৰ্ব্বকীয়া ! আমার সহিত চল, অতি শীতল গর্ভে পড়িয়! আমি তুষারে যখন আচ্ছন্ন ছিলাম, তখন তুমি আমার প্রাণরক্ষা করিয়াছ। খৰ্ব্বকায় তাহাতে সম্মত হইয়। পক্ষিপৃষ্ঠে আরোহণ করিল । সকল পালক হইতে যে পালকটি শক্ত তাহাতে সে আপন কটিবন্ধনের পট্টবস্তু খানি দৃঢ়রূপে বন্ধন করিয়৷ পাদুটি ডানার উপর রাখিল, চাতক তাহার সহিত শূন্যমার্গে উড়িয়া বড়ই বন সমুদ্র এবং অত্যুচ্চ তুষারাচ্ছাদিত পৰ্ব্বত সকল ছাড়াইয় গেল । খৰ্ব্ব বালিকা শুদ্ধ মস্তকটিকে ' বাহির করিয়া অধোভাগস্থিত পদার্থ সকল দেখিতেই চলিল। সমুদায় শরীর পক্ষির উষ্ণ পালুকের ভিভর গুজড়াইয়। রাখিল, তাহ না করিলে বরক ও শীতল বায়ুতে সে জমাট হইয়। যাইভ । অবশেষে, তাহার এক উষ্ণদেশে উত্তরিয়া দেখিল যে পুর্ধ্ববসতি স্থান অপেক্ষ। তথাকার স্থৰ্য্য অধিক তেজোময়, আকাশকে মৃত্তিক হইতে দ্বিগুণ উচ্চ বোধ হইল। উত্তমোত্তম তাল এবং শ্বেতবর্ণের আঙ্গর সকল বেড়া ও নরদামার ধারে ফলিয়। রহিয়াছে। কমল প্রভৃতি নন। প্রকার লেবু সকল বনস্থিত বৃক্ষ সকলে ঝুলয় পড়িয়াছে। চন্দন প্রভৃতি । বনজ বৃক্ষ হইতে বায়ু সহকারে সদৃগন্ধ বহিতেছে। বালকের বিবিধ চিত্র বিচিত্র নানাবর্ণের প্রজাপতি লইয়৷ দৌড় দৌড়ি করত ক্রীড়া করিতেছে। কিন্তু চাতক সেস্থানেও বিরাম না করিয়। আরও কিঞ্চিৎ অধিক দূরে উড়িয়া চলিল । অবশেষে অতি প্রাচীন শ্বেতবর্ণের মৰ্ম্মর প্রস্তর